ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) ফের অভিনব কায়দায় সোনা পাচারের চেষ্টা। শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের তৎপরতায় ভেস্তে গেল চেষ্টা। জিন্সের প্যান্টের খোপে প্লাস্টিকের মোড়কে পেস্ট (Gold Paste Seized)। শুল্ক দফতরের অফিসাররা তা টেনে বের করতেই উদ্ধার হল দেড় কেজিরও বেশি সোনা। কলকাতা বিমানবন্দরে সোনা পাচারের অভিযোগে আটক দুবাই ফেরত দুই যাত্রী।


জিন্সের প্যান্টের কোমরের কাছে সেলাই করে রাখা ছিল প্লাস্টিকে মোড়া পেস্ট। যা আসলে সোনা। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম সোনা। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৬৬ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের শুল্ক দফতর। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই সোনা কোথায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। 


এর আগে মঙ্গলবার হায়দরাবাদের রাজীব গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৃথক ঘটনায় তিন মহিলা যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ১.৪৮ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত সোনার দাম প্রায় ৭২.৮০ লক্ষ টাকা। গত ১১ জানুয়ারি হায়দরাবাদের শুল্ক আধিকারিকরা এ কথা জানিয়েছিলেন। ওই মহিলারা ভিন্ন ভিন্ন ফ্লাইটে দুবাই থেকে হায়দরাবাদে এসেছিলেন। শুক্ল দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুই মহিলা পেস্টের আকারে সোনা নিয়ে এসেছিলেন অন্তর্বাসে লুকিয়ে। অন্য মহিলা সোনা লুকিয়ে রেখেছিলেন মলদ্বারে। এই ঘটনায় সোনা পাচারের তিনটি মামলা দায়ের করেছিল। পুরো ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছিল।


গত বছরের মার্চে হায়দরাবাদের এই বিমানবন্দরে আড়াই কেজি সোনা সহ আটক করা হয়েছিল পাঁচ যাত্রীকে। আটক সোনার বাজারমূল্য প্রায় ১.১৫ কোটি টাকা। মিক্সার গ্রিন্ডারের মোটর ও কাটিং অ্যাপ্লায়েন্সেসে লুকিয়ে ওই সোনা পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। আটক যাত্রীদের ব্যাগ থেকে ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ওই একই মাসে ডিআরআই আধিকারিকরা প্রায় ১১.৬৩ কোটি টাকা মূল্যের সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল।  অসম থেকে হায়দরাবাদে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল ২৫ কেজি ওজনের ওই সোনা।