মলয় চক্রবর্তী, দার্জিলিং: হরিণের শিং পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। নকশালবাড়ির অটল সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। ধৃতের নাম রোহিত এক্কা।


কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, এসএসবি ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের মদন জোত কোম্পানির জ‌ওয়ানরা  নকশালবাড়ির অটল চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোহিতকে গ্রেফতার করেন। পরে উদ্ধার হওয়া হরিণের শিং বাগডোগরা বনদফতরের তুলে দেয় এসএসবি। ধৃত নকশালবাড়ির বেলগাছির বাসিন্দা। তাঁকে বৃহস্পতিবারই শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করার কথা। এর আগেও বন্যপ্রাণী ও প্রাণীদের দেহাংশ পাচারের ঘটনা খবরের শিরোনামে এসেছে। যেমন গত বছরের মে মাসে প্রায় সাড়ে পাঁচশো বিরল প্রজাতির কচ্ছপ ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার হয়। ধরা পড়ে পাচারে জড়িত সন্দেহে দু'জন। বন দফতরের ধারণা, সেগুলি পাচারের জন্যই সীমান্ত এলাকায় আনা হয়েছিল। 


আগেও উদ্ধার...
বন দফতর সূত্রে খবর, ভিনরাজ্য থেকে পাচার হয়ে আসা বিপুল পরিমাণে কয়েক লক্ষ টাকার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য মজুত করা হচ্ছিল। খবর পেয়েই বারাসাত, বনগাঁ ও বসিরহাটের বন দফতরের আধিকারিকরা একসঙ্গে গোপন অভিযান চালান। ঘটনার দিন ভোর চারটে নাগাদ তাঁরা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেন বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। গোপন অভিযানে উদ্ধার হয় বাইশ বস্তা কচ্ছপ, যার ওজন প্রায় এক টনের উপর। প্রায় পাঁচশোটি কচ্ছপ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় দু'জনকে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করে বন দফতর। তার আগের মাসেই মালদার গাজোলের এক  মাংস বিক্রেতার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি কচ্ছপ। পাচারকারীকে ধরতে ক্রেতা সেজে অভিযান চালায় বন দফতর। তাতেই সাফল্য আসে।মালদার গাজোলে কচ্ছপের মাংস বিক্রেতা এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয় পাঁচটি বড় আকারের এবং ১৪টি ছোট আকারের কচ্ছপ। এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে হাত ফস্কে পালিয়ে যান অন্য এক জন। ধৃত ব্যক্তি আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। তাঁকে জেলা বন দফতরে রাখা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কচ্ছপের মাংস বিক্রি রুখতে নেমেছিল বন দফতর। ডিএফও সিদ্ধার্থ বি জানান, গাজোলের নয়াপাড়া এলাকায় কচ্ছপ বিক্রি চলছে বলে খবর মিলেছিল। সেই মতো অভিযুক্তকে ধরতে ফাঁদ পাতা হয়। ওই ব্যক্তির কাছে কচ্ছপ রয়েছে, এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই ক্রেতা সেজে ওই বাড়িতে যান বন দফতর এর রেঞ্জ অফিসার সুদর্শন সরকার-সহ বনকর্মীরা। এর পর হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় অভিযুক্ত বিপুল বিশ্বাসকে।


আরও পড়ুন:কাজের জায়গায় সুখবর পেতে পারেন কারা ? কেমন যাবে আজকের দিন ?