কলকাতা: ফের টলিউডে এক নারীকে নিয়ে, তার লড়াইকে নিয়ে গল্প। মুখ্যভূমিকায় রাফিয়াত রশিদ মিথিলা (Rafiath Rashid Mithila)। মুক্তি পেল পরিচালক অর্ণব কে মিদ্যা (Arnab k Middya)-র আগামী ছবি 'মেঘলা' (Meghla)-র পোস্টার।
এই ছবিতে মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে মিথিলাকে। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন, গৌরব চট্টোপাধ্যায় (Gaurav Chatterjee), অর্ণ মুখোপাধ্যায় (Arna Mukherjee), বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Biswarup Banerjee), সায়ন ঘোষ (Sayan Ghosh), অমিত সাহা (Amit Saha), দীপক হালদার (Deepak Haldar) ও অন্যান্যরা। পরিচালনার পাশাপাশি, কাহিনী চিত্রনাট্য সংলাপেও দায়িত্বেও রয়েছেন অর্ণব।
এই ছবির গল্প কিছুটা এমন, একটি শান্ত, নিরীহ, খুব সাধারণ মেয়ে এই মেঘলা। তাঁর সুন্দর সাজানো জীবনে হঠাৎ নেমে আসে বিপর্যয়। একটার পর একটা দুর্ঘটনায় তাঁর জীবন এলোমেলো, বেসামাল হয়ে ওঠে। তার চারপাশের পরিস্থিতি তাঁকে আরও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। মেঘলা কী পারবে সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে? সেই উত্তর দেবে এই ছবি।
মেঘলা হাসি খুশি প্রাণবন্ত একটি মেয়ে, যার বড় হয়ে ওঠা এক অনাথ আশ্রমে। নিজের চেষ্টায় অদম্য পরিশ্রমের ফলস্বরূপ আজ সে প্রতিষ্ঠিত। স্বামীকে নিয়ে তার সুখের সংসার, তার স্বামী আবির ফরেনসিক মেডিসিনের ডাক্তার। কিন্তু বিয়ের পরেও মেঘলা ভোলে না সেই আশ্রমকে, যেখান থেকে তার বড় হয়ে ওঠা। সে শত কাজের ফাঁকেও যথাসাধ্য চেষ্টা করতে থাকে আশ্রমের বাকি বাচ্চাগুলোর পাশে দাঁড়ানোর, নিজের মতো করে চেষ্টা করে তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর।
অফিসের কাজের সুবাদে, দিন কয়েকের জন্য বাইরে গিয়ে ফিরে আসার পর খবর পায় আশ্রমের একটি ফুটফুটে বাচ্চা মেয়েকে কেউ বা কারা ধর্ষণ করে খুন করেছে। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা মেঘলা, এ কোন পৃথিবীতে নিজের সন্তানকে নিয়ে আসতে চলেছে! সেই ভাবনাই তাকে কুরে কুরে খেতে থাকে। তীব্র মানসিক অবসাদ কাটাতে আবির মেঘলাকে নিয়ে এক নির্জন পাহাড়ি গ্রামে বেড়াতে আসে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে মেঘলা, কলকাতা ফিরে আসার আগে দিন, হঠাৎই আবির উধাও হয়ে যায়। আবারও মেঘলার জীবনে বিপদের মেঘ ঘনিয়ে আসে, শুরু হয় আবিরকে খুঁজে বের করার পালা।
নিয়মিত থানায় যাওয়া; থানার অফিসারের মারফত বেড়াতে যাওয়া এলাকার থানার অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা, সবই চলতে থাকে। ঘটনাচক্রে স্থানীয় থানার বড়বাবু রুদ্র, আবিরের বাল্যবন্ধু। হারিয়ে যাওয়ার পর যিনি আবিরকে খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। আবিরকে খুঁজে পেতে থানায় নিয়মিত যাতায়াতের সুবাদে এক সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপ হয় মেঘলার। সাত্যকি নামের সেই সাংবাদিকও আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে মেঘলাকে সাহায্য করার। এর মধ্যে কেউ বা কারা মেঘলাকে নিয়মিত ফলো করতে শুরু করে, বাড়িতে আসতে থাকে হুমকি চিঠি। হঠাৎই সাত্যকি খোঁজ নিয়ে আসে, এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ রয়েছে উত্তরবঙ্গের এক মর্গে। মেঘলাকে নিয়ে সেখানে যায় সাত্যকি। মেঘলা সনাক্ত করে আবিরের দেহ, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। শুরু হয় আবিরের মৃত্যুর কারণ খোঁজা। এর মধ্যেই অপহৃত হয় মেঘলা। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এক পরিত্যক্ত জায়গায়। শুরু হয় সেখান থেকে নিজেকে বের করে আনার লড়াই, কিডন্যাপারদের সঙ্গে মাইন্ড গেম। মেঘলা কি আদৌ পারবে অন্ধকার কুঠুরি থেকে নিজেকে বের করে আনতে, পারবে কি জানতে কে বা কারা তাকে হঠাৎ করে অন্ধকার কুঠুরিতে আটকে রাখল, পারবে কি জানতে তার স্বামীর মৃত্যুর পিছনে কাদের হাতে রয়েছে? মেঘলা কি আদৌ তার জীবনে ঘনিয়ে আসা মেঘ কাটিয়ে আলোর সন্ধান পাবে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে 'মেঘলা' ছবিতে।
আরও পড়ুন: Gmail Storage Fix: জিমেলে স্টোরেজে সমস্যা? মেল ঢুকছে না? চটজলদি কী করবেন?
আরও পড়ুন: Daily Astrology: কাজের জায়গায় সুখবর পেতে পারেন কারা ? কেমন যাবে আজকের দিন ?