Howrah News:অভিনব উপায়ে হাওড়ার একাধিক এটিএম থেকে টাকা লুঠে গ্রেফতার ১

ATM Money Loot:অভিনব উপায়ে এটিএম থেকে টাকা লুঠের ঘটনায় পুলিশের জালে গ্রেফতার ১। হাওড়া জুড়ে এটিএম থেকে টাকা লুঠের ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল বালিতে।

Continues below advertisement

ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: অভিনব উপায়ে এটিএম থেকে (ATM Money Loot) টাকা লুঠের ঘটনায় পুলিশের জালে গ্রেফতার ১। হাওড়া (Howrah News) জুড়ে এটিএম থেকে টাকা লুঠের ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল বালিতে। পুলিশের দাবি, এটিএমের টাকা বেরোনোর স্লট স্টিলের পাত দিয়ে বন্ধ করে এই কারচুপি করা হয়েছে।

Continues below advertisement

কী ভাবে চলত কারচুপি?
তদন্তে এটিএম থেকে টাকা লুঠ নিয়ে পুলিশ যা জানতে পেরেছে, তা জেনে চমকে উঠেছেন অনেকে। এসব ক্ষেত্রে, গ্রাহকরা এটিএমে পিন নম্বর দেওয়ার পরেও টাকা না বেরোনোয় ফিরে যেতেন। তার পরেই স্টিলের পাত সরিয়ে লুঠ হত টাকা। হাওড়ার একের পর এক এটিএম থেকে এই ভাবেই টাকা লুঠ করা হয় বলে দাবি। শেষমেশ সিসিটিভিতে নজরদারি চালিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ল তিলজলার এক বাসিন্দা। কিন্তু সে কি একাই এই কাজ করত?নাকি নেপথ্যে আরও কেউ ছিল? তাদের খোঁজ পেতে যৌথ ভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতা-হাওড়া পুলিশ। বস্তুত, এটিএম থেকে টাকা সরানোর ঘটনা এর আগেও ঘটেছে এই রাজ্যে। গত মে মাসেই যেমন শ্রীরামপুরে এমন ঘটনায় গ্রেফতার হন ৫ জন। পরে সেই নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসিপি ,শ্রীরামপুর অরবিন্দ আনন্দ বলেন, 'ধৃতদের থেকে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১২ লক্ষ ৩৪ হাজার  ৮০০ টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে।'

শ্রীরামপুরে কী ঘটেছিল?
গত ৫ মে সিকিওর ভ্যালু ইন্ডিয়া লিমিটেড এজেন্সির তরফে শ্রীরামপুর থানায় একটি এফআইআর করা হয়। অভিযোগ ছিল, গত ২ মে তাদের কর্মচারী শ্রীরামপুর এসবিআই ধোবিঘাট ব্রাঞ্চের এটিএমে টাকা না ঢুকিয়ে ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এফআইআর পেয়েই তদন্তে নামে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। গত ৮মে শ্রীরামপুরের মাহেশ থেকে সান্টু দত্ত  ও রিষড়া থেকে সঞ্জীত সরকার এবং সঞ্জীত পাত্রকে গ্রেফতার করে। এতেই শেষ নয়। পরে শ্রীরামপুর থেকে দীপঙ্কর মোদক এবং শিব শঙ্কর ঠাকুরকেও গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে শিবশঙ্কর আবার পেশায় আইনজীবী বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রাথমিক ভাবে ধৃতের সংখ্যা ছিল ৫। পরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসিপি শ্রীরামপুর, অরবিন্দ আনন্দ বলেন  'এদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১২ লক্ষ ৩৪ হাজার  ৮০০ টাকা পাওয়া গিয়েছে।' আপাতত তাদের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।' 
কিন্তু হাওড়ার এটিএম লুঠে যে ধরনের অভিনবত্ব চোখে পড়েছে, তা ছাপিয়ে গিয়েছে অতীতের বহু নজির।

 

আরও পড়ুন:বারবার অসুখে পড়ছেন? হাতের নাগালেই ইমিউনিটি বাড়ানোর অব্যর্থ উপায়, জানিয়ে দিলেন পুষ্টিবিদ

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola