কলকাতা : হাই রোড ধরে লম্বা ছুটতে গাড়ির যেমন ট্যাঙ্ক ভর্তি তেল প্রয়োজন, তেমনই শরীরটাকে ঠিক মতো চালাতে দরকার  প্রয়োজনীয় পুষ্টি, (Health)  যার উৎস অবশ্যই খাবার-দাবার। এই কথা মাথায় রেখেই  ১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পালন করা হয় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। মানুষকে পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতেই এই জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-যাপন। (National Nutrition Week) 


কীভাবে শরীরের ভিতর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে?


ইদানীং বাচ্চা থেকে বুড়ো, বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। কারও ঋতুপরিবর্তন কালীন জ্বর, কারও সর্দি-গর্মি, কারও ডেঙ্গি, কারও কারও আবার জ্বরের কারণ অজানা। আর এর ফলে শরীর অসম্ভব দুর্বল হয়ে পড়ছে। কী খেলে জ্বরে আক্রান্ত শরীরটাকে দ্রুত চাঙ্গা করা যাবে ? অথবা কী খাবার খেলে শরীরের ভিতর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে? জানালেন পুষ্টিবিদ ড. অনন্যা ভৌমিক (Clinical Nutritionist and lifestyle Consultant)।   


 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: বাড়াতে হবে প্রোটিনের পরিমাণ ।  এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনন্যা জানালেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডায়েট চার্টে বাড়াতে হবে প্রোটিনের পরিমাণ। আর তা যে প্রাণিজ প্রোটিন হতেই হবে, তেমন নয়।


 খাবারে মেশান বাদাম গুঁড়ো: অনেক খাবারই হয়ে উঠতে পারে প্রোটিনের জোগান দিতে সহায়ক। যেমন বাদাম গুঁড়ো। ডাল , দুধ যাই খান না কেন সঙ্গে কিছুটা বাদাম গুঁড়ো খাবারটির পুষ্টিগুণ অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। 


বাদাম দিয়ে স্ন্যাকিং : দুটি খাবারের মাঝে একটু মুখ চালাতে ইচ্ছো করছে? ঠিক এরকম একটা খিদেতেই হাত চলে যায় চিপস বা জাঙ্ক ফুডের দিকে। সেগুলোর বদলে একমুঠো বিভিন্ন প্রকার বাদাম হতে পারে দারুণ বিকল্প। প্রোটিনের উৎস, আবার গুড ফ্যাটের ভাণ্ডার। 


ছাতুর সরবত : যাঁরা মাছ-মাংস ছাড়াই, ঘরোয়া খাবারে প্রোটিনের ভাণ্ডার খুঁজছেন, তাদের জন্য ভাল বিকল্প ছাতু। রোজ এক গ্লাস করে ছাতুর সরবত খাওয়া যেতে পারে। চিনি ছাড়া নুন, গুড়, লেবু দিয়ে এই সরবত খাওয়া যায়।  


গুঁড়ো দুধ : অনেক অভিভাবকদেরই অভিযোগ বাচ্চা খেতে চায় না। তাকে খবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন গুঁড়ো দুধ। খেতেও সুস্বাদু হবে আর প্রোটিনও পাবে শিশু।  


সয়াবিন : নিরামিষ ভোজনে রুচি বেশি হলে অবশ্যই পাতে থাকুক বেশি বেশি সয়াবিন। তরকারি থেকে ফ্রায়েড রাইস, স্টার্টার থেকে ডেজার্ট সবেতেই থাকতে পারে সয়াচাঙ্ক। 


নানা রকমের ডাল : ভাতের পাতে ডাল সিদ্ধ বা আলাদা ভাবেও সেদ্ধ করা ডাল একটু সুস্বাদু করে খেতে পারলে অনেকটা উপকার। 


ডিমের সাদা : রোজ ডিমের সাদা অশ দুটি করে খাওয়া যেতে পারে। 


ভিটামিন এ থেকে ই : শুধু তো প্রোটিন খেলে চলবে না। দরকার ভিটামিনের জোগানও।তাই পাতে থাকতে হবে এমন উপাদান যাতে করে ভিটামিন এ থেকে ই, নানা ধরনের  পাওয়া যেতে পারে। 

সবজি :  সবজি খেতে অনেকেরই অনীহা। কিন্তু সবজিকে হালকা ভেজে বা রোস্ট করে বা গ্রিল করে খেতে পারলে খুবই ভাল। সেই সঙ্গে ভাতের পারে বা রুটির সঙ্গে বাচ্চারা যদি প্রতিদিন ১ চামচ করে ঘি খেতে পারে, তাহলে ভাল। আর ছোট থেকেই শিশুদের চিনির প্রতি ঝোঁকটা সরিয়ে মধু খাওয়ার অভ্যেস করতে পারলে ভাল। 


এতো গেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর টিপস। কিন্তু যারা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা কীভাবে আবার তরতাজা হয়ে পূর্ণ উদ্যমে কাজে ঝাঁপাবেন ? তার টিপস থাকছে, পরবর্তী প্রতিবেদনে।  



ড. অনন্যা ভৌমিক


 


 


 




আরও পড়ুন :


ডায়াবেটিকরা চিনির বদলে সুগার সাবস্টিটিউট বা গুড় খেতে পারেন কি? চিকিৎসক কী বলছেন?