সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র (Illegal Arms Recovery) উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ (Raiganj Police) থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতের নাম সুশান্ত রাহা ওরফে পঙ্কজ। তার থেকে সেভেন এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। 


কী জানা গেল?
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সুশান্ত সাহা ওরফে পঙ্কজের বাড়ি রায়গঞ্জ শহরের কাঞ্চনপল্লি এলাকায়। গত কাল অর্থাৎ শুক্রবার, গোপনসূত্রে খবর পেয়ে রায়গঞ্জ শহরের বন্দর এলাকার রামসীতা মন্দির লাগোয়া কুলীক নদীর বাঁধ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পেশায় টোটো চালক সুশান্তকে শনিবার রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করা হয়। তাকে দু'দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রায়গঞ্জ জেলা আদালত। কী ভাবে এই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তার কাছে এল? কোন উদ্দেশ্যে সেভেন এম এম পিস্তল নিজের কাছে রেখেছিল সুশান্ত? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে টোটাচালকের কাছে এভাবে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ফের সেই চেনা প্রশ্ন আলোর বৃত্তে নিয়ে এসেছে। প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে এগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে? বিশেষত, এই ধরনের ঘটনা যখন অতীতেও একাধিক বার ঘটেছে বলে অভিযোগ, সেখানে আরও একটু সতর্কতা কি জরুরি ছিল না? 


গুড়াপের ঘটনা...
জানুয়ারি মাসের একেবারে শেষ দিকে হুগলির গুড়াপে বেআইনি গুলি-বন্দুক উদ্ধারের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুুলিশ। ধৃতদের থেকে ওয়ান-শাটার পাইপ গান, ২ রাউন্ড গুলি, ভোজালি এবং রড উদ্ধারও হয় বলে জানা যায়। ঘটনার দিন রাতে, পুলিশি টহল চলার সময় পৈলান এলাকায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে, একটি বন্ধ কারখানার সামনে বোলেরো পিকআপ ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশ। সেখানে ৪ জনকে দেখে সন্দেহ হয় টহলদার টিমের। গাড়ি-সহ ৪ জনকে আটক করা হলে গুলি-ভোজালি ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রাথমিক ভাবে খবর, ওই ৪ জন ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয়। ধৃতদের মধ্যে দু'জনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটে। একজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী এবং চতুর্থ জন হুগলির চণ্ডীতলার বাসিন্দা। 
এই ঘটনার আগে, গত অক্টোবরে যেমন গত অক্টোবরে যেমন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানার পুলিশ ওই এলাকার জীবনমন্ডলের হাট এলাকা থেকে সুভাষ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ধৃতের থেকে একটি ওয়ান শটার পিস্তল, ১ রাউন্ড কার্তুদ উদ্ধার হয়েছিল। তাদের বক্তব্য, বেআইনি অস্ত্র নিয়ে জীবনমন্ডলের হাট এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল সুভাষ। কিন্তু কেন? কার থেকে সে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল? সেগুলি দিয়ে কী করার উদ্দেশ্য ছিল তার? গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন তখনও যা ছিল, আজও তাই। এভাবে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সাধারণের হাতে আসছে কী ভাবে?


 


আরও পড়ুন:নেই রক্ষণাবেক্ষণ, বাড়ছে না বেতন, জননী সুরক্ষায় বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাতেও অভিযোগ