প্রবীর চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: বাইক দুর্ঘটনায় (Motorbike Accident) মর্মান্তিক মৃত্যু ১ ব্যক্তির। জখম আরও ১। বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড় থানার বহড়াখুল্লা গ্রামের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম সাধন দাস বলে জানিয়েছে পুলিশ।


কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, সাধন দাস নামে ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি বেলিয়াতোড় থানার দধিমুখা গ্রামে। এদিন আত্মীয়া গীতা মণ্ডলকে নিয়ে বাঁকুড়ার দিক থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়ই পিছন থেকে একটি বোলেরো পিকআপ ভ্যান তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পর দুজনকে উদ্ধার করে বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ প্রথমে বেলিয়াতোড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু চিকিৎসকরা সাধন দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত গীতা মণ্ডল আপাতত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘাতক গাড়িটির চালক এখনও পলাতক। পুলিশ দুটি গাড়িই উদ্ধার করে বেলিয়াতোড় থানায় নিয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা একেবারে নতুন নয়। নানা প্রান্তে প্রায়শই এই ধরনের ঘটনার জেরে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে অনেকের। 


হাওড়ার দুর্ঘটনা...
গত মাসেই যেমন একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিল হাওড়া। জাতীয় সড়কে সিএসটিসি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে চারচাকা গাড়ির। তাতে বেঘোরে মৃত্যু হয় তিন যাত্রীর। দুর্ঘটনার তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মৃতদেহ বার করতে না পেরে গ্যাস কাটার আনতে হয়। চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া দেহগুলিকে বের করা হয় এক এক করে। হাওড়ার বাগনানের বরুণদা এলাকার ঘটনা। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরের ওই ঘটনার স্মৃতি এখনও অনেককেই তাড়া করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি সিএসটিসি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে একটি চারচাকা গাড়ির। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, গাড়ির অর্ধেক অংশ বাসের নিচে ঢুকে যায়। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। কোলাঘাটের দিক থেকে একটি গাড়ি কলকাতারমুখী লেন ধরে ছুটে আসছিল। উল্টো দিক থেকে ছুটে আসছিল হাবড়া থেকে দিঘাগামী একটি সিএসটিসি বাস। বরুণদার কাছে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। তাতে ডিভাইটার টপকে খড়্গপুরমুখী লেনে ঢুকে পড়ে সেটি। সেই সময় উল্টো দিক থেকে ছুটে আসা বাসটিও এসে পড়ে। গাড়িটির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে বাসটির। দুর্ঘটনার তীব্রতায় গাড়ির অর্ধেক অংশ ঢুকে যায় বাসটির নিচে। বেশ খানিক ক্ষণ সেই অবস্থাতেই গাড়িটিকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় বাসটি। কিছুটা দূর গিয়ে তার পর থেমে যায় বাসটি। আচমকা চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ভিড় জমে যায় এলাকায়।    


আরও পড়ুন:তীব্র গরম! আগামী সপ্তাহে রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি: মুখ্যমন্ত্রী