হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নরেন্দ্রপুরে (Narendrapur Businessman Murder) ব্যবসায়ী শাহিদ মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২। ধৃতের নাম বিনয়কৃষ্ণ দাস। পুলিশের দাবি, সে 'টিপার' হিসেবে কাজ করেছিল।


কী জানা গেল?
পুলিশের দাবি, গড়িয়ার বোয়ালিয়ায় ভাড়াবাড়িতে থাকত বিনয়কৃষ্ণ। গড়িয়া স্টেশনের সন্ধ্যাবাজারে তার একটা দোকানও রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিনয়কৃষ্ণ 'টিপার' হিসেবে কাজ করেছিল। সাহিদের কাছে টাকা থাকা এবং তার গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য সেই দুষ্কৃতীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল বলে খবর। যদিও নিহতের পরিবারের দাবি, CBI তদন্তের দাবিতে তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায়, চোখে ধুলো দিতেই দেড়মাসের মাথায় পুলিশ এই গ্রেফতারি করল। গত ১৪ অগাস্ট, বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হয় বছর ২৬-এর শাহিদ মণ্ডলকে। গত শুক্রবার, কুলতলির মেরিগঞ্জের বাসিন্দা অভিজিৎ নস্করকে প্রথম গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।


কী ভাবে হত্যা?
গত ১৪ অগাস্ট, রাত ১২ টা ১৫ মিনিট নাগাদ, কুমড়োখালি মোড়ের কাছে নরেন্দ্রপুর থানা থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। তাতেই মারা যান শাহিদ মণ্ডল নামে ২৬ বছরের ওই যুবক। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, শাহিদ বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন রাতেও ব্যবসার টাকা সংগ্রহ করে স্কুটারে করে ফিরছিলেন যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ফরতাবাদ এলাকায় একটি আবাসনের সামনে তাঁর স্কুটার আটকে গুলি করে ৩ দুষ্কৃতী। তাদের সবার মাথায় হেলমেট ছিল।পরিবারের দেওয়া সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, দু'জন ২ জন রাস্তায় দাঁড়িয়ে। কিছুক্ষণ পর বাইক ঘুরিয়ে ইএম বাইপাসের দিকে যায় তারা। এরপর ফিরেও আসে। শাহিদ মণ্ডল সেখানে পৌঁছনোর পরই গুলি চালায় তারা। এরপর পিয়ারলেস হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় খুনের মামলাও রুজু হয়েছে বলে জানানো হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু, ঘটনার পর ১ মাস কেটে গেলেও, নরেন্দ্রপুরে যুবক খুনের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর দ্বারস্থ হয় নিহতের পরিবার। তার পর, গত কাল অর্থাৎ শনিবার, ঘটনার  ১ মাস ১০ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতারি হয়।কুলতলির মেরিগঞ্জের বাসিন্দা অভিজিৎ নস্করকে গ্রেফতার করে বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। 
এবার দ্বিতীয় গ্রেফতারি।


আরও পড়ুন:রোদ ঝলমলে আকাশ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তর ২৪ পরগনায়