সুদীপ্ত আচার্য এবং অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: লালবাজারের কাছে টেরিটি বাজারে ভষ্মীভূত শতাধিক বছরের পুরনো বাড়ির তিনতলা। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে বিপত্তি বলে দাবি স্থানীয়দের। দমকল সূত্রে খবর, নিরাপদে উদ্ধার করা হয় বাড়ির বাসিন্দাদের। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আগুন লাগার কারণ।


আগুনের গ্রাসে বাড়ির ৩ তলা। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। ভয়াবহ হয়ে উঠেছে লেলিহান শিখা। শনিবার সন্ধেয়, টেরিটি বাজারে ১২০ বছরের পুরনো বাড়িতে আগুন-আতঙ্ক।                                


ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধে ৭.১৫। আচমকা বাড়ির ৩ তলায় সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। এক বাসিন্দা বলেন, "সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে।" খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। কিন্তু এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় গলির মধ্যে ইঞ্জিন ঢুকতে পারেনি বলে দমকল সূত্রে খবর। ফলে রিলে পদ্ধতিতে জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চালাতে হয়।


আরও পড়ুন, তৃণমূল তো ৫০০ দিচ্ছে, বিজেপি এলে ২০০০ টাকা দেবে, 'কথা দিলেন' সুকান্ত


তেমনই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে আছে প্রোমোটার চক্রের যোগ। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। দমকলসূত্রে খবর, খতিয়ে দেখা হচ্ছে আগুন লাগার সঠিক কারণ। স্থানীয়দের সহায়তায় ওই বাড়ি থেকে সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়। হতাহতের কোনও খবর নেই।                                                                           


দেখা যায় তিন তলা বাড়ির একদম ওপরের ফ্লোরে আগুন লাগে। সেই আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। এদিকে অত্যন্ত সংকীর্ণ গলির মধ্যে এই বাড়ি থাকায় আগুন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।                                                                                          


গলির মধ্যে বাড়িটির অবস্থানের জন্য দমকলের ইঞ্জিনগুলিকে বাড়ির সামনে আনা যায়নি। রিলো সিস্টেমের মাধ্যমে জল এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিন তলায় ৫ সদস্যর একটি পরিবার থাকত। এর মধ্যে বয়স্ক বাসিন্দাও রয়েছে। এই বাড়িটির দোতলাতেও কয়েকজন ছিলেন। এক তলা ছিল সম্পূর্ণ ফাঁকা।