প্রকাশ সিনহা, কলকাতা :  গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে  একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে সিবিআইয়ের হাতে।  সিবিআই সূত্রে দাবি, ২০১৭-র মাঝামাঝি থেকে ২০২১-এর গোড়া পর্যন্ত ৪ বছরে কোটি কোটি নগদ টাকা জমা পড়েছে বীরভূমের ২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে।


৮টি অ্যাকাউন্টে ৪ বছরে ১৬ কোটি ! 


অনুব্রত মণ্ডল , তাঁর স্ত্রী ছবি মণ্ডল, মেয়ে সুকন্যা, মেয়ের দুটি সংস্থা, ওই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের ৮টি অ্যাকাউন্টে এই চারবছরে মোট নগদ ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল ! এই খবর  এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছে সিবিআই। খবর সূত্রের।


Anubrata Mandal: প্রভাবশালী তত্ত্বে ফিরহাদের ‘বাঘ’ উপমার উল্লেখ আদালতে, ফের জামিনের আর্জি খারিজ অনুব্রতর


কোটি কোটি টাকা নগদ কেন নেওয়া হয়


কোটি কোটি টাকা নগদ কেন নেওয়া হয়েছিল, কারা জমা দিয়েছিল, নগদ জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম থাকে, তা মেনে চলা হয়েছিল কি না, জানতে ৩টি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের তলব করেছে সিবিআই। খবর সূত্রের। 


কিছুদিন আগে লটারিকাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে CBI’এর তদন্তে! CBI সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফের লটারি জেতার টাকার হদিশ মিলেছে। এবার ৫০ লক্ষ টাকা! অর্থাৎ, এই নিয়ে বাবা ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে, ৫ বার লটারি জেতার হদিশ পেল CBI। তাদের দাবি, ২০১৯ সালে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে লটারি জেতার ১০ লক্ষ টাকা ঢোকে। ওই বছরেই তাঁর মেয়ের অ্যাকাউন্টে ঢোকে ২৫ ও ২৬ লক্ষ টাকা। CBI সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, তারা যে নতুন ৫০ লক্ষ টাকার হদিশ পেয়েছে, সেই টাকা সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ২০২০-র জানুয়ারি মাসে। আর অনুব্রত মণ্ডল ১ কোটি টাকার লটারি জিতেছিলেন ২০২১-এ। একি গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার খেলা? ‘ভাগ্য দেবতা’ ঝুলি উপড়ে দিয়েছে ‘বাবা-মেয়ে’র কপালে?

গত ১১ নভেম্বর অনুব্রত মণ্ডলের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তাঁকে গরু পাচার মামলায় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে প্রভাবশালী তত্ত্ব তুলে ধরেন। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি অনুব্রতকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করেন। সিবিআইয়ের আইনজীবী সেই প্রসঙ্গ তুলে দাবি করেন, অনুব্রত প্রভাবশালী বলেই তাঁকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।