সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়া ময়দানের কাছে সন্ধ্যা বাজার এলাকায় জিটি রোডের ওপর ১৬ চাকার লরি উল্টে বিপত্তি। ভোর ৪টে নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। হাওড়া ময়দান থেকে জিটি রোড ধরে শিবপুরের দিকে যাওয়ার সময়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে রেলিঙে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় লরি। এর জেরে ঘণ্টাতিনেক ধরে জিটি রোডে যান চলাচল বন্ধ। কাজের দিনে ব্যস্ত রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা। 


মাথায় হেলমেট থাকা সত্ত্বেও বেপরোয়া ট্রেলারের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্য়ু হল বাইক আরোহীর। গতকাল তারাতলার কাছে হাইড রোডে দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম রাজ মল্লিক। একবালপুরের বাসিন্দা রাজ বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। ট্রেলার চালক পলাতক। 


বিধানসভায় আসার পথে হাওড়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ল আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির গাড়ি। দুর্ঘটনার পর চক্রান্তের অভিযোগে সরব হয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। তাঁর অভিযোগের আঙুল সওকত মোল্লার দিকে। নৌশাদের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন ক্যানিং পূ্র্বের বিধায়ক।  


দমদম পার্কে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরবাইক ও লরিতে ধাক্কা বেপরোয়া গাড়ির। এক মহিলা সহ মৃত্য়ু হল ৪ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও ২ জন। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, খতিয়ে দেখছে লেকটাউন থানার পুলিশ। 


দুমড়ে-মুচড়ে গেছে গাড়ি। সামনের কাচ ভেঙে বাইরে ঝুলছে আরোহীর নিথর দেহ। রাস্তায় পড়ে চাপ চাপ রক্ত। রাতের কলকাতায় ফের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরবাইক ও লরিতে ধাক্কা মারল বেপরোয়া গাড়ির।  ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয়েছে এক মহিলা সহ ৪ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ২ জন।



রবিবার গভীর রাত ঘড়ির কাঁটায় প্রায় দেড়টা। লেকটাউনের দিক থেকে এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছিল, প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, দমদম পার্ক ও ভিআইপি রোডের সংযোগস্থলের সিগনালে দাঁড়িয়ে ছিল একটি লরি ও বাইক। বাইকে ছিলেন ২ আরোহী। আচমকা অত্য়ন্ত দ্রুত গতিতে এসে বাইকে ধাক্কা মারে SUV.এরপর লরিতে।


গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েন দুই বাইক আরোহী। মাথায় হেলমেট থাকলেও, শেষরক্ষা হয়নি। মারাত্মকভাবে জখম হন দুজনে। মাথায় আঘাত লাগে। মৃত্য়ু হয় উল্টোডাঙার বাসিন্দা, রোহিতকুমার সিংহ ও বাবু কুণ্ডু নামে ২ বন্ধুর।



অন্য়দিকে, গাড়ির মধ্য়ে থাকা ৪ আরোহীর মধ্য়ে মৃত্য়ু হয় ১ মহিলা সহ ২ জনের। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই ছিল যে, গাড়ির কাচ ভেঙে, সিট সমেত ছিটকে গিয়ে বনেটের ওপর পড়েন এক আরোহী। সামনে উঠে আসে গাড়ির পিছনের সিট। গাড়ির ভিতর রক্ত। সিট উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে ছিলেন হীরালাল জয়সোয়ারা, পূজা সিং, রাজেশ মল্লিক ও কুন্দন মল্লিক নামে ৪ জন। মৃত্য়ু হয়েছে পূজা সিং এবং হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা, হীরালালের। হীরালালই সম্ভবত গাড়ির চালক বলে অনুমান পুলিশের। 


এদিকে, অতিসঙ্কটজনক অবস্থায়, R G কর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, হাওড়ার গোলাবাড়ির বাসিন্দা, দুই বন্ধু রাজেশ ও কুন্দন। সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি ট্রাফিক। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনার মুহূর্তে গাড়ির স্পিড ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি ছিল। গাড়ির সামনের সিটে বসে থাকা কেউ সিট বেল্ট পরেননি। 
তাই কাচ ভেঙে, বনেটে গিয়ে ছিটকে পড়ে আরোহী। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গাড়ির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। গাড়িতে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


শুধুমাত্র দ্রুত গতির জেরেই দুর্ঘটনা? না কি চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন? কিম্বা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন? সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।