কলকাতা: গ্রুপ ডি মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ চাকরিহারা ১৯১১ জন ব্যক্তি। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ১,৯১১ জন। ]


বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ( Justice Abhijit Gangopadhyay )  বেতন ফেরতের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। চাকরি বাতিল এবং নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এবার সুপ্রিম কোর্টের ( Supreme Court ) দ্বারস্থ ১৯১১ জন। 


 ইতিমধ্যেই চাকরি বাতিলের নির্দেশ মামলায় ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় যাতে এক তরফা কোনও নির্দেশ না দেওয়া হয়, সে কারণেই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১০ তারিখ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রুপ ডি'তে ১,৯১১ জনের চাকরি বাতিল হয়। চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে SSC। নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন , ১,৯১১ জনের জায়গায় ওয়েটিং লিস্ট থেকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে SSC'কে।


বিচারপতির নির্দেশ ছিল, ওয়েটিং লিস্ট থেকে যোগ্য প্রার্থীদের নাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। ৬ মার্চের মধ্যে নথি যাচাই করে সুপারিশ পত্র দেওয়ার কাজ শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের OMR শিটও যদি বিকৃত করা হয়ে থাকে তাদের নামও বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে ১,৯১১ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশও দেন বিচারপতি। প্রয়োজনে ১,৯১১ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে CBI, বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি যোগ করেন, চাকরি হারারা স্কুলে ঢুকতে পারবেন না তাঁরা। দেশের কোন সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। কোনও ক্ষেত্রেই আদালতের অনুমতি ছাড়া এদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা যাবে না। নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  


বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।এর ফলে 


এরপর গত ১৬ তারিখ ওএমআর শিট কারচুপিতে অভিযুক্ত ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীকে এখনই বেতনের টাকা ফেরাতে হবে না বলে নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের বাকি নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। তাই ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ এখনও বহাল থাকছে।