শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাসন্তীতে বোমা ফেটে বিস্ফোরণ, ২ জন গ্রেফতার। বাসন্তীকাণ্ডে বাড়ির মালিক-সহ ৭জনের বিরুদ্ধে এফআইআর। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের রক্তাক্ত দঃ ২৪ পরগনা, বোমা বিস্ফোরণ
বাসন্তীতে বোমা ফেটে ৪জন আহত, ৩জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 


দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ক্যানিং। উদ্ধার হল বন্দুক, তাজা বোমা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সভাপতির ছেলে-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় সামনে চলে এল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিবাদ। 


শুক্রবার রাতে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। শুক্রবার রাতে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। আর শনিবার সকালে মিলল তাজা বোমা। পঞ্চায়েত ভোটে মুখে যেন বারুদের গন্ধে ছেয়ে গেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ক্যানিং! সংঘর্ষে জডিত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বং উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতির ছেলে। টনাকে ঘিরে সামনে চলে এল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির গোষ্ঠীর বিবাদ। 


গন্ডগোলের সূ্ত্রপাত শুক্রবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি এলাকার রাশ কাদের হাতে থাকবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে। অভিযোগ, তার জেরে রাতে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় এই একনলা বন্দুক। মিলেছে ৬টি গুলিও।


কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার সকালে, ড্রেন থেকে উদ্ধার হয় একটি তাজা বোমা। সংঘর্ষের পর বোমা-বন্দুক উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। ঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাদের মধ্যে রয়েছেন টখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য এবং ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ছেলে কুতুবউদ্দিন সর্দার। 


স্থানীয় সূত্রে খবর,তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খতিব সর্দার ও যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সর্দারের গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ। তাদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরেই শুক্রবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। দলের কোন্দলের কথা স্বীকার করে নিলেও, এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি।


এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া নিতে, যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ত ফোন ধরেননি। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা সঞ্জয় নায়েকের কথায়, এটা তৃণমূলের দীর্ঘদিনের বিবাদ, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি যে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে তা মিথ্যা। আর কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু, এখনই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভোটের সময় কী হবে? প্রশ্ন তুলছে ক্যানিংয়ের সাধারণ মানুষ।