কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: বারাবনিতে দুর্ঘটনায় দুই বিজেপি নেতার মৃত্যু (BJP Leader Death Mystery) ঘিরে চাঞ্চল্য। দুজনেরই বাড়ি বারাবনির দাসকেয়ারি এলাকায়। 'খুনের' আশঙ্কা বিজেপি নেতৃত্বের। মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তারা সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) দাবি জানাবেন, বলে জানান বিজেপির আসানসোল (Asansol) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিলীপ দে।


 গতকাল রাত আটটা নাগাদ সেখান থেকে নিজেদের বাইকে চেপে আসানসোলের ভাড়া বাড়িতে আসার জন্য রওনা দেয় বাবলু সিংহ ও মহেন্দ্র সিংহ । বাবলু বারাবনি দু নম্বর মন্ডলের বিজেপির সাধারন সম্পাদক এবং মহেন্দ্র ঐ মন্ডলেরই সহ সভাপতি । গাড়ি নিয়ে আমডিহা মোড়ের কাছে আসতেই একটি ডাম্পারের সাথে সংঘর্ষ হয় । আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবলুকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে এবং মহেন্দ্রকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। 


প্রসঙ্গত, এর আগেও বিজেপি নেতার মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল অতীতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিকবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এবং তারপরেই গেরুয়া শিবিরের তরফে 'খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার' অভিযোগ উঠেছিল। বাইশ সালের মে মাসেও কাশীপুরে বিজেপি যুব মোর্চার এক নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছিল। ঘনীভূত হয়েছিল রহস্য। কাশীপুর রেল কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে অর্জুন চৌরাসিয়া নামে ২৬ বছরের ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েচিল। পুলিশ সূত্রে দাবি উঠেছিল, ঘরে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।


আরও পড়ুন, আজ পেট্রোল-ডিজেলের দরে হেরফের কোন শহরে ? কী দাম কলকাতায় ?


 সেসময় পরিবারের দাবি উঠেছিল, ওই যুবক বিজেপি কর্মী ছিলেন। পরিবার এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ করেছে। চিত্‍পুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করেছিল। পরিবারের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের পর হুমকি দেওয়া হয়েছিল বিজেপি যুব মোর্চার ওই নেতাকে। পরিবার আরও জানিয়েছিল যে  রাত সাড়ে ৮টায় সে অফিস থেকে বাড়ি ফেরে। তার ঠিক আগের দিনই সে মাইনে পেয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসবে বলে জানিয়েও ছিল পরিবারকে। কিন্তু রাত পার হয়ে যায়, আর সে বাড়ি ফেরেনি। তাঁকে ফোনেও কোনওভাবে পাওয়া যায়নি। এদিকে সেসময় রাজ্য সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। যাবতীয় স্বাগত জানানোর কর্মসূচি বাতিল করে সফরের প্ল্যান বদলে তিনি গিয়েছিলেন কাশীপুরে।