সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: ভরদুপুরে পুরুলিয়ায় (Purulia) সোনার শোরুমে ডাকাতির ঘটনায় আরও অভিযুক্ত গ্রেফতার। সোনা, হীরের গয়না, প্রচুর টাকা-সহ আরও ২ ডাকাত গ্রেফতার হল। ধৃতদের একজনের নাম ওমপ্রকাশ, আরেকজনের নাম বাবলু সিং। এই ওমপ্রকাশই ডাকাতির নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

কী কী উদ্ধার:

পুলিশ সূত্রের খবর, পুরুলিয়ায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় এবার উদ্ধার হয়েছে ৩৬ লক্ষ টাকা। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। ২টি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গেই ২ জন গ্রেফতার হয়েছে। দিল্লি, বিহার থেকে ৩জনকে গ্রেফতারের পরে আরও দুষ্কৃতীর হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।  বিহারের বাসিন্দা ওমপ্রকাশের নেতৃত্বেই ডাকাতি, দাবি পুরুলিয়া পুলিশের (Purulia Police)।


গত ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়া (Purulia) শহরের নামোপাড়া এলাকায় ১টি সোনার বিপণিতে ৭ জনের দুষ্কৃতী দল লুঠপাট চালায়। যাবার আগে বিপণির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়। ঘটনায় প্রায় ৮ কোটি টাকার সোনার ও হিরের সামগ্রী লুট হয়।


পুলিশ সূত্রে খবর, পুরুলিয়ায় এই ডাকাতির পরিকল্পনা হয়েছিল জেলে বসে। রীতিমতো রেকে করে পুরুলিয়ে শহরের এই নামি গয়নার বিপণিতে লুঠ হয়। জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী পুরুলিয়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডে মিলিত হয় ডাকাতরা। সেখান থেকেই ২৯ অগাস্ট, দুপুরে তারা পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়ায় গয়নার শোরুমে হানা দেয়। ৯ দিন আগে ২০ অগাস্ট থেকে পুরুলিয়ায় রেকি শুরু করে ডাকাতরা। এরপর ফাইনাল অপারেশনের দিন প্রায় ৮ কোটি টাকার সোনা, হিরের গহনা এবং শোরুমের সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে চম্পট দেয় ৭ জনের ডাকাতদল। এই ঘটনায় ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লি থেকে বিকাশ কুমার নামে এক দুষকৃতীকে  গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি বিহারের নালন্দায়। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর করমজিৎ সিং সিধু নামে আরও এক ডাকাতকে ঝাড়খণ্ডের সুদামডি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বাড়ি ঝাড়খণ্ডেই। 


২০ অগাস্ট থেকে পুরুলিয়া শহরে টানা রেকি করে ডাকাত দল। ২৯ অগাস্ট ওই শোরুমের নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রায় ৮ কোটি টাকার সোনা ও হীরের গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। শোরুমের সিসিটিভির হার্ডডিস্কও নিয়ে যায় ডাকাত দল। এই ঘটনায় রবিবার অজয় যাদব নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের তিলিত থানা এলাকায় বাড়ি অভিযুক্তের।


আরও পড়ুন: জালিয়াতি করে বাবার স্কুলে ছেলের চাকরি! এবার জালে সহকারী স্কুল ইন্সপেক্টর