কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: ফের কলেজে বহিরাগতদের তাণ্ডব। এবার ঘটনাস্থল পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) রানিগঞ্জ (Raniganj)। সেই শহরের টিবিডি কলেজে বহিরাগতদের তাণ্ডব। ঘটনাস্থলে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁরা। 


ঠিক কী হয়েছিল?


সূত্রের খবর, টিবিডি কলেজে এদিন হঠাৎ করেই কিছু বহিরাগত ছাত্র ঢুকে পড়ে ও তাঁরা তাণ্ডব চালানো শুরু করে। ২ পক্ষের ঝামেলা বেঁধে যায় কলেজর ভেতরেই। অভিযোগ যে, সেই সময় বহিরাগতরা ২ ছাত্রের মাথা ফাটিয়ে দেয়। সিসিটিভিতে যেই ছবিও ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে যে বহিরাগত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী ও সদস্যদের সঙ্গে কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী ও সদস্যদের মধ্য়ে ঝামেলা লেগে যায়। যা আরও বাজে আকার ধারণ করে। যদিও পুলিশ আসতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 


কলেজের নিরাপত্তা কোথায়?


কিছুদিন আগেই গোপালনগর কলেজের একটি ঘটনা এবিপি আনন্দে নজরে এসেছিল। থাকার কথা কলেজের নথিপত্র! কিন্তু  একী! সেখান থেকেই কিনা আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ? সঙ্গে আবার ৪ রাউন্ড কার্তুজ। গোপালনগরের নহাটা যোগেন্দ্রনারায়ণ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল চারদিকে। গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কলেজের অধ্যক্ষ। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কলেজের সাসপেন্ডেড অ্যাকাউন্ট্যান্টের।


কী হয়েছিল?
   
কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে দাবি, এদিন কলেজের বিভিন্ন আলমারি খুলে নথি খতিয়ে দেখছিলেন কর্মীরা। তখনই স্টাফ রুমে থাকা একটি আলমারি খুলতেই আগ্নেয়াস্ত্রটি বেরিয়ে আসে। পাশে ছিল চারটি কার্তুজও। চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় কর্মীদের। যেখানে কলেজের নথি থাকার কথা সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ কেন? এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, যে আলমারি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজের হদিস মিলেছে সেটি কলেজের সাসপেন্ডেড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রণপতি রায়ের। কয়েকমাস আগে অধ্যক্ষের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এখন জামিনে মুক্ত হলেও কলেজে আসছেন না।


আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকাকর্মীর, আলোড়ন গলসিতে