রঞ্জিত হালদার, বারুইপুর: পণ্যবাহীর গাড়ির ডালার তলায় খাপ তৈরি করে অভিনব কায়দায় গাঁজা (Ganja) পাচারের চেষ্টা করছিল তিন ব্যক্তি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পারল না। গাঁজা সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে একজন পলাতক। তার সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর-আমতলা (Baruipur) রোডের টংতলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বারুইপুর-আমতলা রোডের টংতলায় নাকা চেকিংয়ের সময় সন্দেহজনকভাবে একটি অশোক লেল্যান্ড কম্পানির DOS7 মডেলের পণ্যবাহী গাড়িকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে তল্লাশি চালায় বারুইপুর থানার পুলিশ। তল্লাশিতে ১১৭ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার হয়। যার ওজন আনুমানিক একশো কুড়ি কিলো, দাম প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। ঘটনায় তিনজন জড়িত থাকলেও দুজনকে গ্রেফতার করা গেছে। তাদের মধ্যে একজন মগরাহাট থানার রায়নগর এলাকার বাসিন্দা রাজ্জাক ঢালি, অপরজন বাংলার মোড় পদ্মের হাটের আরিফ হোসেন মণ্ডল। বারুইপুর থানার আইসি সৌমজিৎ রায়ের নেতৃত্বে এই বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধারে খুশি সকলে।
বারুইপুর থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের নাকা চেকিং চলে বিভিন্ন সময়। সেই মতো বারুইপুর থানার অন্তর্গত টংতলা এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে নাকা চেকিং চালাচ্ছিল বারুইপুর থানার পুলিশ। নাকা চেকিং চলাকালীন সন্দেহজনক গাড়ি গুলিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। একটি ছোট হাতি গাড়িতে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় কথার অসঙ্গতি দেখা দিলে, গাড়িটির প্রতি সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। পাশাপাশি গাড়ির পেছনে থাকা এক ব্যক্তি পুলিশ দেখেই চম্পট দেয়। এরপর গাড়িটিকে ভালোভাবে খতিয়ে দেখার পর সন্দেহ আরও জোরালো হয়। একদম অভিনব সিনেমার মতো কায়দায় গাড়ির বডিটিকে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। গাড়ির বডির ওপরের অংশ ফাঁকা থাকলেও,নিচে সুন্দরভাবে সাজানো ছিল ১১৭টি প্যাকেট। যা দেখে সাধারণভাবে কোনও রকম সন্দেহ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। বারুইপুর পুলিশ জেলার দক্ষ অফিসারদের চোখকে ফাঁকি দিতে পারল না পাচারকারীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।