কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: ছেলেধরা (Child theft) সন্দেহে ফের মারধরের ঘটনা ঘটল রাজ্যে। শুক্রবার সকালে বর্ধমান (Burdwan) শহরে দুজনকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করেছে।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে বর্ধমান পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাঁ পাড়ায় এক নাবালিকা সহ দুজনকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ওই এলাকার একটি শিশুর সঙ্গে কথা বলছিল পাঁচজন অপরিচিত। এলাকার কয়েকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাদের পরিচয় জানতে চায়। তখন স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তারা এলাকা থেকে পালাতে থাকে। কয়েকজন এলাকাবাসী তাদের তাড়া করে গিয়ে কিছু দূরে থাকা ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তেলমারুই পাড়া এলাকায় নাবালিকা সহ দুজনকে ধরে ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে প্রচুর লোকজন জমে যায় ঘটনাস্থলে। যার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তদন্ত শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।


পুলিশ সূত্রে খবর, থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আক্রান্তরা জানিয়েছে যে তাদের কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। ভিক্ষা করার জন্যই ওই এলাকায় তারা গেছিল। কিন্তু, স্থানীয় লোকজন তাদের ছেলেধরা সন্দেহে তাড়া করে বেধড়ক মারধর করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে গুজবের বশীভূত হয়ে কাউকে মারধর করতে বারবার নিষেধ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচিও নেওয়া হয়। তারপরও এই ধরনের ঘটনা কমছে না। 


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বারাসতে একটি নাবালকের খুনের ঘটনায় ছেলেধরা নিয়ে গুজব ছড়ায়। যার জেরে বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। যার ভিডিও ভাইরাল হতে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিকজনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য সহকর্মীদের নিয়ে পথে নেমে ছিলেন খোদ পুলিশ সুপার। ছেলেধরা নিয়ে গুজবের জেরে মারধরের ঘটনা ঘটে অশোকনগর সহ রাজ্যের আরও বেশ কিছু জায়গায়।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Post Poll Violence: 'BJP করলে এই এলাকায় অটো চালানো যাবে না..', ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত শাসনে