অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: চা বাগান (Tea Garden) থেকে দৈত্যাকার পাইথনের (Giant Python) খোঁজ ঘিরে চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে (alipurduar)। বন দফতর সূত্রে খবর, পাইথনটি (python) লম্বায় অন্তত ২০ ফুট (20 feet)। 


কী ঘটেছিল?
মাদারিহাটের মুজনাই চা বাগানের ঘটনা। গত কাল দুপুর নাগাদ চা পাতা তোলার সময় বাগানের মাঝে দৈত্যাকার প্রাণীটিকে দেখেন শ্রমিকরা। আতঙ্ক ছড়ায় মুহূর্তের মধ্যে। খবর দেওয়া হয় জলদাপাড়া বন দফতরকে। বনকর্মীরা এসে উদ্ধার করে দৈত্যাকার ওই পাইথনটিকে। ঠিক কত বড় ছিল সাপটি? বোঝাতে একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন কর্মীরা। সাপটিকে তুলে আনতে তাঁদের প্রায় ১০ থেকে ১২ জনকে লেগেছে। পাইথনটি উদ্ধারের পর জলদাপাড়ার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে বন দফতর সূত্রে খবর। ঘটনা হল, লোকালয়ে বা মানুষের যাতায়াত রয়েছে এমন জায়গায় পাইথনের দর্শন নতুন নয়। 


আগেও এক ঘটনা...
সেপ্টেম্বরেই জলপাইগুড়িতে মুরগি খেতে আসা ১০ ফুটের একটি অজগরের খবর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল নানা দিকে। জানা যায়, গয়েরকাটার হিন্দু পাড়া এলাকায়  বাসন্তী কুজুরের বাড়িতে মুরগি খেতে ঢুকেছিল ওই  অজগরটি। এলাকার যুবকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাপটিকে ধরতে গেলে জঞ্জালু রায়ের ও কুসুম কলুনিয়া নামে  দুই যুবককের হাতে কামড় বসিয়ে দেয় ওই অজগর। তবুও প্রায় ১০ ফুট লম্বা অজগরটিকে তারা কব্জা করে এবং কাঁধে তুলে  নেয়। এভাবেই এক কিলোমিটার রাস্তা অজগরটি কাঁধে নিয়ে উল্লাস করতে করতে হেঁটে শহর পার হয়। এইভাবে হই হট্টগোল করতে করতে আসা যুবকদের দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন কোনও টুর্নামেন্ট জিতে ফিরছেন বুঝি তাঁরা।  কিন্তু কাছে আসতে সকলের চোখ কপালে উঠে যায় , ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য দেখে। এরকম কাণ্ড দেখে হতবাক সর্প বিশেষজ্ঞ থেকে পরিবেশ প্রেমীরা। যদিও সাপটি নিয়ে রীতিমতো উল্লাসের আমেজ শুরু হয়েছিল 'উদ্ধারকারীদের' মধ্যে। সেলফি তোলার হিড়িকও পড়ে যায়। তার আগে গত অগাস্টে উত্তর ২৪ পরগনার ঘটনা শোরগোল ফেলে দেয়। সে বার এক বাঁশ বাগানের ভিতর ১৫ ফুট পাইথনের হদিস পেয়ে চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল একদল স্থানীয় যুবকের। হঠাতই চিৎকার করে উঠেছিলেন তাঁরা। আওয়াজ শুনে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন এলাকার মানুষ। সন্ধের অন্ধকারের মধ্যে আলো জ্বালিয়ে প্রায় ১৫ ফুটের পাইথনটিকে ধরা হয়েছিল। হাবরার পৃথিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণকাটি এলাকা থেকে দৈত্যাকার সাপ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আশপাশের অঞ্চলেও। 
তবে এক্ষেত্রে উদ্ধার হওয়া পাইথনটির দৈর্ঘ্য আরও বেশি। সব মিলিয়ে এখনও চিন্তার আবহ কাটেনি চা বাগানে। 


আরও পড়ুন:সারা রাজ্যে বিজয়ার সুর, তারই মাঝে নতুন করে দেবী আরাধনা শুরু কোচবিহারে