রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: বিজেপির ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। কোভিড বিধি ভাঙার অভিযোগে নারায়ণী সেনার সদস্যদের আটকালে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে। গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে যাওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে উদ্ধার করেন তাঁর রক্ষীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এবং কোভিড বিধি ভঙ্গের অভিযোগে দুই শতাধিক নারায়ণী সেনার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। 


এই ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন, ‘এঁরা কোভিড আইন মানেননি। এঁদের দু’বার ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেটও নেই। অথচ এঁরা গতকাল রাত থেকে এক জায়গায় দুই শতাধিক মানুষ ছিলেন। আজ সকালে এঁরা পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করে পুলিশকে গায়ে হাত দেন। একইসঙ্গে এঁরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এবং সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন, তাই এঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’


বিজেপির ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’ ঘিরে ফের অশান্তি উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলবার বাগডোগরার পর বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়িতে নারায়ণী সেনার জমায়েত ঘিরে তৈরি হল উত্তেজনা। এদিন ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’ উপলক্ষে জলপাইগুড়িতে কর্মসূচি ছিল কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গেই জল্পেশ মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল নারায়ণী সেনার সদস্যদের। এর জন্য ময়নাগুড়িতে জমায়েত করেন ওই সংগঠনের শতাধিক সদস্য। কোভিড বিধি ভেঙে জমায়েত করার অভিযোগে পুলিশ তাদের বাধা দিলে বচসা বাধে। আটকানোর প্রতিবাদে ইন্দিরা মোড়ে অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের পুলিশ আটক করে। শেষপর্যন্ত নারায়ণী সেনার সদস্যদের ছাড়াই দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন নিশীথ প্রামাণিক।


এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায় বলেছেন, ‘তৃণমূলের কর্মসূচিতে বিধি ভাঙা হচ্ছে না! শহিদ সম্মান যাত্রা আটকানো হচ্ছে। পুলিশ আটকে দিয়েছে। আমরা কোভিড বিধি মেনেই কর্মসূচি পালন করছি।’ 


অন্যদিকে, আর্থিক সাহায্য নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করলেন জলপাইগুড়ির মৃত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের স্ত্রী। গতকাল মৃত দলীয় কর্মীর বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিক। যা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।