মুন্না অগ্রবাল, দক্ষিণ দিনাজপুর: বালুরঘাটে গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু। কালভার্ট থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় গৃহবধূর। টিকা নিতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু ফেরা হল না আর। ফিরল কেবল তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ। 


মঙ্গলবার বিকেলে করোনা থেকে প্রাণ বাঁচাতে টিকা নিতে বেরিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর বালুরঘাট থানার বোয়ালদার বাসিন্দা, ওই গৃহবধূ। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন গৃহবধূ পাতা বর্মন। এরপর বুধবার সকালে বালুরঘাটেই উদ্ধার হয় পাতা বর্মনের মৃতদেহ। মহামারী থেকে বাঁচতে নিতে চেয়েছিলেন টিকা। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস এমন যে না হল ভ্যাকসিন নেওয়া, এমনকী বেঁচে থাকাটুকুও হল না পাতা বর্মনের।


তাঁর পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ, করোনার ভ্যাকসিন নিতে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন ওই মহিলা। কিন্তু সারা রাত বাড়ি ফেরেননি। এরপর গোটা রাত ধরে মৃতার স্বামী ও সন্তানরা খোঁজ করতে থাকেন তাঁর। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। মৃতার ভাইয়ের কথায়, বিকেলের দিকে টিকা নিতে যাচ্ছেন বলেই বের হন তাঁর দিদি। এরপর রাত দশটা বেজে গেলেও দিদি ফেরেননি। তখনই চিন্তায় পড়েন বাড়ির লোক। তারপর দিদিকে খুঁজতে খুঁজতে হাজির হন জামাইবাবু ও তাঁর সন্তানেরাও। খোঁজ চালিয়ে এরপর বুধবার সকালে বালুরঘাট স্টেশনের কাছে একটি কালভার্টের নিচে পাতা বর্মনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে ছিল সেখানে।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে মহিলার গলার নলি কেটে ফেলা হয়েছে। এমনকী মাথায় ভারী কোনও কিছু দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে দেওয়ার স্পষ্ট চিহ্নও পাওয়া গেছে।


কীভাবে ঘটল এমন হত্যাকাণ্ড? কেনই বা এমনটা হল? হত্যার পিছনে কী কারণ, কাদেরই বা হাত রয়েছে? তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা! আপাতত অস্বাভাবিক মৃতুর অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।