ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের অনশন কর্মসূচি দুদিন পার করল মঙ্গলবার। ১৩ বছর ধরে চাকরির জন্য় অপেক্ষা করছেন এই প্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশে গতমাসে প্যানেল প্রকাশ হলেও, এখনও নিয়োগপত্র হাতে পাননি কেউ। এনিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন অনশনরত চাকরিপ্রার্থীরা।


দীর্ঘ ১৩ বছর অপেক্ষার পর আদালতের নির্দেশে কিছুটা আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু, আবার তা ঢেকেছে অনিশ্চয়তার অন্ধকারে। চাকরি পাওয়ার যেটুকু সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা মুছে গিয়ে আবার তৈরি হয়েছে প্রশ্নচিহ্ন। তাই ফের নিয়োগের দাবিতে অনশনে বসতে হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্


বালিগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের জেলা অফিসের সামনে ১৭দিন অবস্থান বিক্ষোভের পর, তাঁদের আমরণ অনশন কর্মসূচি মঙ্গলবার দুদিন পার করল। ১৩টা বছর ধরে চাকরির জন্য় অপেক্ষার হতাশা, এই চাকরিপ্রার্থীদের চোখেমুখে স্পষ্ট। অনশনরত চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না। 

আরও পড়ুন :


পুলিশ হেফাজতে অনুব্রত, এবার ইডি কী করবে? তাদের কাছে কী রাস্তা খোলা?


২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন এই প্রার্থীরা। ১৩ বছর অপেক্ষার পর, 



  • আদালতের নির্দেশে, ১৫ নভেম্বর প্য়ানেল প্রকাশিত হয়।

  • ১৪ দিনের মধ্য়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষের নির্দেশও দেওয়া হয়।

  • কিন্তু, পর্যাপ্ত শূন্য়পদ না থাকায়, নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোয়নি।

    অপেক্ষা করতে করতে প্রার্থীদের অনেকের বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে। আদৌ চাকরিটা করতে পারবেন কিনা, সেই আশঙ্কা এখন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাঁদের। অনশনরত এই প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা কেউ নিয়োগপত্র হাতে পাননি। যেসব প্রার্থীর নাম প্য়ানেলে ওঠেনি, তাঁরাও মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্য়ালয় সংসদের বালিগঞ্জের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান।

    বুধবার অনশনের আপডেট 
    শীত উপেক্ষা করে হকের চাকরির দাবিতে পথেই কাটছে রাত। চারদিনে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯-এর প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের অনশন। অবস্থানের ২০ দিন চলছে। বালিগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের জেলা অফিসের সামনে অনশন মঞ্চে
    মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯-এর প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। অনশনকারীদের দাবি, ১৩ বছর ধরে টানাপোড়েনের পর গত ১০ নভেম্বর, হাইকোর্ট ১৪ দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশের পর প্যানেল প্রকাশ করা হলেও, একমাস কেটে গেলেও নিয়োগ হয়নি। চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, সরকার হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে তাঁদের নিয়োগপত্র দিক, এটুকুই দাবি। 

    সবার প্রশ্ন একটাই--- এই বঞ্চনা থেকে আদৌ মুক্তি মিলবে কি? কতদিনে? 

  •