জয়ন্ত পাল, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : সুবিচারের দাবিতে এবার দিল্লির পথে কামদুনির প্রতিবাদীরা। কামদুনিকাণ্ডে দোষীদের আরও কড়া শাস্তির দাবিতে লড়াইয়ের শেষ দেখতে চায় কামদুনিবাসী! পথে নেমে হোক কিংবা ন্য়ায়ালয়ের দরজায় দরজায় ঘুরে, যে কলেজ পড়ুয়ার দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল...তার জন্য় সব কিছু করতে রাজি তারা।
বুধবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রওনা দিলেন টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়াল, শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়-সহ ৯ জন। দলে রয়েছেন কামদুনির নির্যাতিতার দুই ভাই-ও। কামদুনিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন প্রতিবাদীরা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের গাফিলতিতেই গণধর্ষণ-খুনের মামলায় চার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মুক্তি পেয়েছে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন কামদুনির প্রতিবাদীরা।
বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন কামদুনিকাণ্ডের প্রতিবাদীরা। তাঁদের হয়ে সওয়াল করবেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে । হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে কামদুনি। রাজ্যের গাফিলতিতেই গণধর্ষণ-খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা মুক্তি পেয়েছে, অভিযোগ প্রতিবাদীদের।
খোদ কলকাতা হাইকোর্ট তার রায়ের কপিতে উল্লেখ করেছে, এই অপরাধ পূর্ব পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমাফিক ঘটানো হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রমাণে ব্য়র্থ হয়েছে সরকারপক্ষ। রায়ের কপিতে আরও বলা হয়েছে, ধর্ষণ এবং খুনে, সইফুল এবং আনসারের মতো একই উদ্দেশ্য় ছিল এমামুল, ভুট্টো, ভোলা এবং আমিন আলির, সরকারপক্ষের এই যুক্তি নড়বড়ে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এবং তা প্রমাণিত একথা বলা যায় না। আর তাই কামদুনির তদন্তের ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ ইতিমধ্য়েই জোরালভাবে উঠেছে।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সপ্তাহে।