কলকাতা : লোকসভা ভোটের আগে বঙ্গে জোট-জট অব্যাহত। নিত্যদিনই বিজেপি-বিরোধী শিবিরের কোনও না কোনও নেতা টিপন্নি কাটতে 'ব্যস্ত'। যার সারমর্ম এই, জাতীয় স্তরে যা-ই হোক, এ রাজ্যে তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএমের একমঞ্চে আসাটা কার্যত কঠিন। গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে সারা দেশে লড়বে ইন্ডিয়া জোট। বাংলায় লড়াই করবে তৃণমূল। এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চলছে তরজা। এরই মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর স্পষ্ট বক্তব্য, "গত ভোটেও মমতা আর বিজেপিকে হারিয়ে জিতে এসেছি। একবার নয়, ওদের বারবার হারিয়ে জিতে এসেছি।"
এগিয়ে আসছে লোকসভা ভোট। বাংলায় ৩৫ আসন জয়ের টার্গেট সেট করেছে বিজেপি। কিন্তু, বিজেপি-বিরোধী দলগুলো এরাজ্য়ে কীভাবে লড়বে ? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। এই আবহেই বাংলায় কি কার্যত একলা চলার বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী ? তিনি কি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, এরাজ্যে কংগ্রেস, সিপিএম কারও সঙ্গে জোটের পক্ষপাতী নন তিনি ? গতকাল তৃণমূল নেত্রী মন্তব্য করেন, "ইন্ডিয়া জোট সারা ভারতে থাকবে, আর বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসই বিজেপিকে শিক্ষা দিতে পারে। সারা ভারতকে পথ দেখাতে পারে। অন্য কোনও দল নয়।"
অর্থাৎ, বাংলায় জোট প্রশ্নে অব্যাহত জট। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় একথা বললেও, কিছুটা অন্য় সুর শোনা যায় তাঁর দলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের গলায়। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল একাই একশো। তাছাড়াও, যদি জোট দরকার হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁরা কংগ্রেসের বিষয়ে কথা বলছেন। সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে বাংলায় কথা বলার কোনও প্রশ্ন আছে বলে আমাদের জানা নেই।"
এই পরিস্থিতিতে এবার অধীরও চাঁচাছোলা ভাষায় বললেন, "আগেরবার ভোটেও বিজেপি আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে জিতেছি। একবার নয়, বারবার ওদের হারিয়ে এসেছি। এসবে আমার কিছু ফারাক হয় না। কিন্তু, যখন জোটের কথা হয় তখন জোটের যে ধর্ম সেটা কেউ পালন করুন বা কেউ না করুক, সেটা নিজের নিজের ব্যাপার। এনিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। দলের হাইকম্যান্ড জোট নিয়ে যা বলার বলবেন। আমি কোনও টিপ্পনির জবাব দেব না, দলের হাইকম্যান্ড জবাব দেবে।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।