কলকাতা: অপেক্ষার আর কয়েকদিন। মঞ্চ তৈরির কাজে হাত দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের কাউন্টডাউন। আর কয়েকমাস পরেই বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। এবার ত্রিস্তরীয় মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। 

২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের শেষ একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। শুরু হয়ে গেছে তার ফাইনাল কাউন্টডাউন। মঙ্গলবার, ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে খুঁটি পুজোর মাধ্যমে শুরু হল ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের মঞ্চ বাঁধার কাজ। আগাগোড়া উপস্থিত থেকে তদারকি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। ছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। প্রতিবারের মতোই এবারও ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশের ত্রিস্তরীয় মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। মূল মঞ্চটির উচ্চতা হবে ১৩ ফুট। এখানেই বসবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। পরের স্তরের মঞ্চটির উচ্চতা হবে ১২ ফুট। এখানে বসবেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা। মঞ্চের তৃতীয় স্তরটি মাটি থেকে ১১ ফুট উচ্চতায় তৈরি হচ্ছে। এখানে তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য শীর্ষ নেতারা বসবেন। ত্রিস্তরীয় এই মঞ্চের দৈর্ঘ্য হবে ৮০ ফুট। প্রস্থ ৪২ ফুট। মোট ৬০০ জন বসতে পারবেন মঞ্চে। লোহার কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে গোটা মঞ্চ।                    এদিকে ভিন রাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের হেনস্থার প্রতিবাদে আজ পথে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করবেন তৃণমূলনেত্রী। সঙ্গে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ২টোয় কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হয়ে বউবাজারের নির্মলচন্দ্র দে স্ট্রিট, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, SN ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ধর্মতলা চত্বরে যানজটের আশঙ্কা। লালবাজার সূত্রে খবর, পরিস্থিতি বুঝে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। শিয়ালদামুখী গাড়িগুলিকে মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে এজেসি বোস রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা যাত্রাপথে থাকবে কড়া নিরাপত্তা। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে দেড়হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে। একজন অ্যাডিশনাল কমিশনারের নেতৃত্বে নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন ২ জন যুগ্ম কমিশনার ও ৬ জন ডেপুটি কমিশনার।