প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: এবার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (Account Frozen) করা হল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee)। ফ্রিজ করা হল শান্তনুর ২৫টি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রায় দেড় কোটি টাকা (1.5 Crores) রয়েছে। ফ্রিজ হওয়া অ্যাকাউন্টগুলি শান্তনু, তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা ও তাঁদের সংস্থার, খবর ইডি সূত্রে। কয়েকজন প্রভাবশালীর নির্দেশ কাজ করেছি, দাবি শান্তনুর, জানা গিয়েছে আরও। 


কী জানা গেল?
এর আগের দিন রিমান্ড লেটারে দাবি করা হয়েছিল যে কুন্তল ঘোষ বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১ কোটি টাকা নগদ শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকার খোঁজেই, শান্তনু, তাঁর স্ত্রী ও সংস্থার কাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। ওই অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেন আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে সেগুলি 'অ্যাটাচ' করা হবে। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে শান্তনুকে। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু জানিয়েছেন প্রভাবশালীদের নির্দেশেই তিনি কাজ করতেন। কুন্তল ঘোষকেও সেই জন্যই ব্য়বহার করতেন, দাবি তাঁর। 


বিপুল সম্পত্তি...
এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা উঠে আসছে তাতে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কী রয়েছে সেই তালিকায়?



  • ইডি সূত্রে দাবি, এখনও অবধি এই যুব তৃণমূল নেতার ১০টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। 

  • তার মধ্য়ে রয়েছে হুগলির বলাগড়ে শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের  বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি! যেখানে রয়েছে ৭টি সিসি ক্যামেরা। বাড়ির বাইরের গ্যারেজে রয়েছে দু'টি গাড়ি।

  • বলাগড়ে আসাম রোডের ধারে হদিশ মিলেছে শান্তনুর একটি বিলাসবহুল ধাবার। ধাবার ভেতরে রয়েছে অত্যাধুনিক লাউঞ্জ, হুক্কাবার। 

  • ধাবার উল্টোদিকেই রয়েছে শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ইচ্ছেডানা গেস্ট হাউস। 
     
    বলাগড়ে গঙ্গার ধারে রয়েছে একটি বিলাসবহুল রিসর্ট। সিসিটিভি ঘেরা এই রিসর্টের ভেতরে রয়েছে সুইমিং পুল। রয়েছে গঙ্গায় নামার ব্যক্তিগত সিঁড়িও। 

  • হুগলির চন্দননগরে শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের একটি ১৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্য়াটও রয়েছে।

  • ইডির দাবি, একাধিক জমি এবং দুটি বাড়ি-সহ প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে শান্তনুর। 
    রয়েছে বেনামে সম্পত্তিও।

  • ব্যান্ডেলে শরৎ সরণির বাড়ির খোঁজ মেলে। বাড়িটি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দাবি স্থানীয়দের।


যে সব সম্পত্তি ২০১৫ সালের পর কেনা হয়েছে, তার বেশিরভাগই নগদে কেনা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের টেটে যখন দুর্নীতি হয়, তারপরই উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায় শান্তনুর সম্পত্তি। তার আগে তাঁর সম্পত্তি বলতে সেরকম কিছুই ছিল না। বিদ্যুৎ দফতরের সামান্য কর্মচারী ছিলেন শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বছরে বেতন ছিল কয়েক লক্ষ টাকা। তারপরেই রকেটগতিতে উত্থান হয় শান্তনুর। নিজের নামে বিপুল সম্পত্তি, নিজের নামে কোম্পানি। তাঁর আয়ের সঙ্গে বিপুল সম্পত্তির সঙ্গতিও পাওয়া যায়নি বলে খবর।


আরও পড়ুন:বাম আমলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ! পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা পোস্ট ঘিরে তোলপাড় সোশ্যাল