জয়ন্ত রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:
বিদ্যুৎ-সংযোগ (Maheshtala Burglary) বিচ্ছিন্ন করে বস্ত্র-ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ২৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং ৩ ভরি সোনার গহনা চুরির অভিযোগ উঠল মহেশতলায়।দক্ষিণ ২৪ পরগনার কালীতলা আশুতি থানার অন্তর্গত চট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষগোট চন্ডিগড়ের বাসিন্দা বস্ত্র ব্যবসায়ী সারউদ্দিন সাঁপুইয়ের বাড়িতে চুরির ঘটনাটি ঘটে।


যা জানা গেল...
পুলিস সূত্রে খবর, বাবা-মা এবং দুই ভাইকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকেন সারউদ্দিন। গতকাল অর্থাৎ রবিবার, সকালে সারউদ্দিনের অসুস্থ দিদাকে দেখতে বিষ্ণুপুরের নবাসনে গিয়েছিলেন মা-বাবা। সন্ধ্যায় ফোন করে ছেলেদের জানান, তাঁরা রাতে বাড়ি ফিরবেন না। এও মনে করান যে, ছেলেরা যেন ঘরে তালা দিয়ে বের হয়। দুই ভাইয়েরই হাটে জামাকাপড় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি হাওড়ার অঙ্কুরহাটিতে একটি স্টল নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ২৫ লক্ষ টাকা তুলে এনেছিলেন তাঁরা। সেই টাকাটি ঘরের আলমারিতে রেখে চাবি দিয়ে সেই চাবি আলমারির পাশে থাকা ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে রেখে হাটের দিকে বেরিয়ে যান দুজন। বেরোনোর সময় দরজা-জানলাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি তাঁদের। আজ সকালে, আশপাশে থাকা অন্যান্য তুতো ভাইয়ের পরিবার-পরিজনেরা দেখতে পান, বাড়ির পিছনের দিকে রান্নাঘরের দরজাটি খোলা। গ্রিলের তালাও ভাঙা রয়েছে। সামনে গেলে নজরে আসে, ঘরের দরজার তালাও ভাঙা রয়েছে। আলমারির যাবতীয় জিনিসপত্র বিছানায় লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলেও দেখেন তাঁরা। পরিবারের দাবি, গত কাল রাতে এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। সকালে বিদ্যুৎ কর্মীদের ডাকা হলে তাঁরা খেয়াল করেন, যে জয়েন্ট বক্স থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হত, তাতে তাঁদের কোনও তালা লাগানো নেই। বরং অন্য আরেকটি তালা লাগিয়ে এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সাঁপুই পরিবারের দাবি,  পরিকল্পিতভাবেই কেউ বা কারা এই চুরির ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলে কালিতলা আশুতি থানার পুলিশ পৌঁছে কাটা তালাগুলি উদ্ধারের পাশাপাশি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত-ও শুরু করেছে। তবে পরিবারের দাবি, তাদের পরিচিত কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। কারণ তাঁদের সঙ্গে সকলেরই সম্পর্ক ভাল। 
তা হলে প্রশ্ন ওঠে, এই ঘটনার নেপথ্যে কারা? বাড়িতে যে নগদ টাকা রয়েছে, সেই খবর চোরেদের কাছে গেল কী ভাবে? এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত, তদন্ত করছে পুলিশ


আরও পড়ুন:বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে মান্যতা শীর্ষ আদালতের, জট কাটল ২০২২-এর প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়