সুনীত হালদার, হাওড়া: লোকাল ট্রেনের (Local train) ধাক্কায় তিন কিশোরের (adolescent0 মৃত্যু ঘিরে তুমুল হইচই উলুবেড়িয়া স্টেশনের (uluberia station) ডোমপাড়ায়। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। আসে রেল পুলিশও।


কী ঘটেছিল?
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সন্ধের দিকে চার  কিশোর উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে মিডল লাইনে পয়সা নিয়ে খেলছিল। এমন সময়ই বিপত্তি। হঠাৎ লোকাল ট্রেনে চলে আসায় তিন কিশোর কাটা পড়ে। ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। এক জন কিশোর ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে। একাদশীর সন্ধেয় এমন ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। কোথা থেকে কী হয়ে গেল, বুঝতে পারছেন না কেউ। শোকে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছে পরিবার। দুর্গোৎসবের আনন্দের রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তার মধ্যেই এমন মর্মান্তিক খবর। বস্তুত, গত কাল রাত থেকে এমন একের পর এক অঘটনের খবরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণে।


অঘটন ঘটছেই...
গত কাল প্রতিমা বিসর্জনের সময় জলপাইগুড়ির মাল নদীতে হড়পা বানের ঘটনায় এর মধ্যেই ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১০ বছরের এক বালিকাও রয়েছে। তবে প্রশাসনের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। বিপন্নদের উদ্ধার করতে গত কাল মাঝরাত পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয়। তারপর প্রবল বৃষ্টির জেরে উদ্ধারকাজ সাময়িক বন্ধ হয়। আজ সকালেও নদীর বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। এই বিপর্যয় নিয়ে স্থানীয় সূত্রে একটা সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে, যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল থাকে। হড়পা বানের সময় তা হিতে বিপরীত হয়েছে।  যেখানে বিসর্জন হচ্ছিল, সেদিকেই প্রবল স্ত্রোত এসে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। অন্য দিকে আবার আরামবাগের দিঘির ঘাটে বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। তাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে এলাকায় উত্তেজনা। তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ করে পরিবার। দুর্গোৎসবের আনন্দের রেশ এখনও ফুরোয়নি। মধ্যেই উত্তর থেকে দক্ষিণ, একের পর এক নানা অঘটনে শোকের ছায়া রাজ্যের নানা প্রান্তে। তার মধ্যে চন্দননগরে এমন হামলার অভিযোগ। পাশাপাশি, চন্দননগরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারকে হামলার অভিযোগ ওঠে তাঁরই সহকর্মীর বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে দিনভর রাজ্যের নানা প্রান্তে একের পর এক অঘটনের খবর।


আরও পড়ুন:হড়পা বানে জলের স্রোতে বাঁচাই কঠিন, বলছেন নদী বিশেষজ্ঞরা, পুলিশ-প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধীরা