রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: গাঁজা পাচারের বড়সড় ছক ভেস্তে দিল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের এসওজি ও কোতোয়ালি থানা। সঙ্গে উদ্ধার প্রায় ৩ কুইন্টাল গাঁজা। তিস্তা সেতু সংলগ্ন বিবেকানন্দ পল্লি এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর ঘটনাটি ঘটে। গ্রেফতার দুই যুবক। 


কী ঘটেছিল?
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলা পুলিশের এসওজি পুলিশ অফিসার সঞ্জু বর্মনের নেতৃত্বে নজরদারি শুরু হয়েছিল এদিন। হঠাতই বিবেকানন্দ পল্লি এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর একটি পেট্রল-ডিজেলের ট্যাঙ্কার দেখে সন্দেহ হয় তাদের। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের এসওজি ও কোতোয়ালি থানা। তার পরই দেখা যায়, ওই ট্যাঙ্কারের ভিতর সারি সারি করে সাজানো রয়েছে গাঁজার প্যাকেট যার আনুমানিক মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। জিতেন্দ্র ওঝা ও বিজয় শঙ্কর নামে দুজনকে এদিনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছেন, অসম থেকে গাঁজা তোলা হয়েছিল। গন্তব্য ছিল কলকাতা। পুলিশের নজর এড়াতে পেট্রল-ডিজেলের ট্যাঙ্কারের আড়ালে সাজিয়ে রাখা হয় প্যাকেটগুলি। যে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেটি নাগাল্যান্ডের। ধৃত ২ জনই হাওড়ার বাসিন্দা। তাঁদের আদালতে পেশ করার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত শুরু হয়েছে, জানায় পুলিশ। 


আগেও অভিযোগ...
গাঁজা পাচারের ঘটনা ঘিরে হইচই নতুন নয় জলপাইগুড়িতে। আগেও বিভিন্ন জায়গায় মাদক পাচারের অভিযোগে শিরোনামে এসেছে এ জেলা। গত অক্টোবরে তোলপাড় খোদ জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কারারক্ষীর বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ ওঠে। শোনা যায়, টুপিতে লুকিয়ে গাঁজা পাচার করতেন তিনি। অভিযুক্ত কারারক্ষীকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)। সূত্রের খবর, তাঁর কাছ থেকে ১২ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধারও হয়। ওই ঘটনায় তীব্র হইচই পড়ে যায় নানা মহলে। তারও আগে, ২০১৮-র অক্টোবরে আর এক অভিনব কায়দায় গাঁজা লুকনোর খবর পাওয়া গিয়েছিল জলপাইগুড়িতেই। পুলিশ জানিয়েছিল, গাড়ির সিলিংয়ে গাঁজা লুকিয়ে রাখত পাচারকারী। বমাল ধরাও পড়ে। 
এবার পেট্রল-ডিজেলের ট্যাঙ্কারের আড়ালের মাদক পাচারের চেষ্টা।


আরও পড়ুন:৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে 'ঘনিষ্ঠ' পার্থ-অর্পিতা, পার্টনারশিপ সংস্থার নথি দেখে দাবি ইডির