রঞ্জিত সাউ, বিধানননগর: ভরদুপুর দ্রুতবেগে যাচ্ছে একটি বাইক। তার ঠিক পিছনেই তাড়া করছে আর একটি বাইক। ঠিক যেন কোনও সিনেমার চেজ় সিকোয়েন্স। প্রবল গতিতে থাকা দুটি বাইকের দিকে নজর পড়েছিল দুপুরে রাস্তায় থাকা পথচারীদের। তারপরে নিউটাউনের লোহাপুলের কাছে আগের বাইকটিকে টপকে পিছনের বাইকটি এসে দাঁড়ায়। শেষপর্যন্ত জানা যায় আগের বাইকে যারা ছিল তারা আসলে ছিনতাইবাজ। আর পিছনে যাঁরা তাড়া করছিলেন তাঁরা পুলিশ। ঘটনাটি বুধবার দুপুরের।   


পরপর ছিনতাই:
একের পর এক ছিনতাই হচ্ছিল নিউটাউন এলাকায়। প্রতিদিনই বাইক নিয়ে আসত ছিনতাইকারী। তবে এক একদিন এক একটি বাইক, অভিযোগ এমনটাই। যে দুজনকে ধরা হয়েছে তারা হারোয়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর,হারোয়ার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলাম ও ইয়ামিন মোল্লাকে ধরা হয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে নিউটাউন ডিসি ব্লকে একটি সোনার চেন ছিনতাই করার অভিযোগ রয়েছে। এর পর পরই আরও একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে  ডিএফ ব্লকে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত দুজনই প্রতিবার আলাদা বাইক নিয়ে এসে ছিনতাই করত, যাতে পুলিশ এর চোখে ধুলো দেওয়া যায়। পুলিশ যাতে খোঁজ না পায় তাই এই ব্যবস্থা। কখনও আবার বাইকের নম্বর প্লেট খুলে নিয়ে আসত ধৃতরা। বুধবার একটি বাইক নিয়ে ছিনতাই করতে আসে তারা। সেই সময় নিউটাউন থানার পুলিশ বাইক নিয়ে টহল দিচ্ছিল। পুলিশের সন্দেহ হয়, তাঁদের কাছে যেতেই তারা বাইক নিয়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ বাইক নিয়ে তাঁদের ধাওয়া করে লোহাপুলের কাছে গিয়ে চলন্ত বাইক থেকে নেমে তাঁদের বাইকটি আটকে দেয়। এর পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই দুজন দোষ স্বীকার করে। এর পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ ধৃতদের বারাসাত কোর্টে তোলা হয়েছে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ছিনতাই হওয়া সামগ্রী ও ছিনতাইয়ে ব্যবহার করা বাইক উদ্ধার করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে ভাঙন-বিপদ, বন্ধ করে দেওয়া হল রাস্তা