গৌতম মণ্ডল,কুলপি: ১০০ দিনের (MGNREGA) কাজ করেও নায্য মজুরি পাননি বেশ কয়েকজন শ্রমিক। উল্টে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশি সভা ঢাকা হয় তৃণমূলের (TMC) তরফে। আর সেই সভাতে যাওয়া তৃণমূলের অঞ্চল ও বুথ সভাপতি সহ তিনজন নেতাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির (Kulpi) করঞ্জলী পঞ্চায়েতের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে। এমনকী ওই নেতাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি মজুরি থেকে বঞ্চিত শ্রমিকদের একাংশ টানাহেঁছড়া করে।
খবর পেয়ে কুলপি থানার প্রচুর পুলিশকর্মী গ্রামে গিয়ে ওই তৃণমূল নেতাদের উদ্ধার করতে যান। কিন্তু, গ্রামবাসী ও বঞ্চিত শ্রমিকদের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘক্ষণ টালবাহানা চলার পর রাত ১০টা নাগাদ পুলিশের হস্তক্ষেপে দ্রুত বকেয়া মজুরি মেটানোর প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিক্ষোভ থামান শ্রমিকরা। ছেড়ে দেওয়া হয় আটকে রাখা তিন তৃণমূল নেতাকেও। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে স্থানীয় এলাকায়।
আরও পড়ুন: Sealdah Train: আজ থেকে বাতিল বেশ কিছু লোকাল ট্রেন, সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে কোন কোন ট্রেনের যাত্রাপথ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে করঞ্জলী পঞ্চায়েতের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বেশ কিছু কাজ হয়। কিন্তু, সেই কাজের মজুরি দীর্ঘদিন আটকে ছিল। গত মাসে রাজ্য সরকার শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেয়। সেই টাকা বিভিন্ন শ্রমিকের অ্যাকাউন্টেও ঢোকে।
কিন্তু শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, টাকা ঢোকার পর সেই টাকা তুলে দিতে হয়েছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি স্বপন মাঝিকে। অনেককে আবার টাকা দিতে চাপ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত শ্রমিকরা মজুরি পাননি বলেও অভিযোগ উঠছিল। এর জেরে বুধবার বিকেলে বঞ্চিত শ্রমিকদের নিয়ে তৃণমূল নেতারা সালিশি সভা বসান গ্রামে। সেই সভায় মজুরির হিসেব নিয়ে গরমিল প্রকাশ্যে আসে। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সালিশি সভার পরিবেশ। টানাহেঁছড়া করার পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ ধরে নেতাদের আটক করে রাখেন শ্রমিকরা। পরে পুলিশ এসে দীর্ঘক্ষণ ধরে বোঝানোর পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। যদিও বিষয়টিকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: Coochbehar News: ভোটের আগে অশান্ত শীতলকুচি, দুষ্কৃতীদের ভিডিও ভাইরাল, বিতর্ক তুঙ্গে
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।