ঝিলম করঞ্জাই, জয়ন্ত পাল, কলকাতা : বর্ষার দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দাপট বাড়ছি ডেঙ্গির ( Dengue ) । প্রতিবছর বর্ষার শেষাশেষি থেকে শরতের মাঝামাঝি পর্যন্ত ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত হয়। এবারও তার অন্যথা হল না। ফের মশাবাহিত রোগ কেড়ে নিল এই শহরের একটি মেয়ের প্রাণ। অকালেই শেষ হয়ে গেল এক তরুণীর জীবন।
ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হল দক্ষিণ দমদমের এক বাসিন্দার। দক্ষিণ দমদমের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন বছর পঁয়ত্রিশের ববিতা রায়। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন দক্ষিণ দমদম মিউনিসিপ্যাল হসপিটালে। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে এনএস-১ পজিটিভ ছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
বর্ষার জমা জলে বাড়ছে এডিস ইজিপ্টাই-এর সংসার! ঘরে ঘরে বাসা বাঁধছে জ্বর-সর্দি-কাশি। রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। ডেঙ্গি রোগের জীবাণু বহণ করে এডিস ইজিপ্টাই মশা। পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে এই মশা। পুরো জীবনচক্রে মশার শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু বেঁচে থাকে। ফলে স্ত্রী মশা ডিম পাড়লে তার মাধ্যমে জন্মানো নতুন মশার শরীরেও ডেঙ্গির জীবাণু সংক্রমিত হয় এবং সেই মশা কামড়ালে রোগ ছড়ায় মানুষের শরীরে।
আরও পড়ুন :
ডায়াবেটিকরা চিনির বদলে সুগার সাবস্টিটিউট বা গুড় খেতে পারেন কি? চিকিৎসক কী বলছেন?
এর আগে বুধবার ভোরে ফুলবাগানের হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১৩ বছরের কিশোরের। তার আগে ছেলেকে আরেকটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন বাবা। তাঁর আক্ষেপ, সেই হাসপাতাল আরেকটু নজর দিলে হয়তো ছেলেকে হারাতে হত না। মৃত বালকের বাড়ি নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনি এলাকায়। তার বাবার অভিযোগ, ওই এলাকায় সেনার একাধিক ক্য়াম্প রয়েছে। যেখান থেকে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। সাহাপুর কলোনি এলাকার আরও বেশ কিছু বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ১৩ বছরের কিশোরের মৃত্য়ুর পর বৃহস্পতিবার সেখানে যায় পুর-আধিকারিকদের দল। বিভিন্ন জায়গায় স্প্রে-ও করা হয়।
এখনও দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে। জল জমার সমস্য়াও রয়েছে। তাই ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে সকলকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কী কী উপসর্গ দেখে বুঝবেন, যে ডেঙ্গি হতে পারে?
- ধুম জ্বরের পাশাপাশি মাথা ও গায়ে প্রচন্ড ব্যথা।
- ঘন ঘন বমি পাওয়া। শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া।
- কোনও কোনও ক্ষেত্রে গোটা গায়ে লাল ছোপ ছোপ দাগ, চুলকানি।
- অবস্থা খারাপের দিকে গেলে নাক, মুখ থেকে রক্তপাত
- এমনকী প্রস্রাব, পায়খানার সঙ্গেও রক্ত পড়তে শুরু করা।