শিলিগুড়ি: বড়সড় দুর্ঘটনার (Train Accident) হাত থেকে রক্ষা পেল ট্রেন। তবে যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে আরও একবার প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল (Indian Rail)। এদিন শিলিগুড়ি জংশন এবং গুলমা স্টেশনের মধ্যে কোনও মতে বিপত্তি এড়ায় ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশ্যাল ট্রেনটি। কিন্তু আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ছিল যাত্রীদের মধ্যে।
কী ঘটেছিল?
যাত্রীদের অভিজ্ঞতা ও রেল সূত্রের (Indian Railways) খবর মিলিয়ে প্রাথমিক ভাবে যা উঠে আসছে তাতে, শিলিগুড়ি জংশন ও গুলমা স্টেশনের মাঝে কাফলিং ছিঁড়ে প্রায় ১০০ মিটার এগিয়ে যায় ভিস্তাডোম ট্রেনের ইঞ্জিন। খবর ছড়াতে দেরি হয়নি। দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। বাঁচোয়া বলতে রেলচালক ও কর্মীদের তৎপরতা। এড়ানো যায় দুর্ঘটনা। মেরামতির কাজ চলে প্রায় আধ ঘণ্টা। তার পর ফের গন্তব্যে রওনা দেয় ভিস্তাডোম টুরিস্ট স্পেশাল। কিন্তু প্রশ্ন হল, গত জুনে বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনা-সহ একের পর এক বিপর্যয় সত্ত্বেও এখন কেন গা ছাড়া ভাব কাটেনি রেলের? যাত্রী-সুরক্ষার ব্যাপারে কেন এত ঢিলেমি? আজ যে বিপত্তি এড়ানো গিয়েছে তা প্রত্যেক বারই যে সম্ভব হবে, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়? এদিনের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। ট্রেন মেরামতির পর গন্তব্য রওনা দিলেও সেই আতঙ্কে পুরোপুরি কাটেনি।
ওন্দায় দুর্ঘটনা...
বালেশ্বরের ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের পরও ট্রেন দুর্ঘটনা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তা নয়। জুন মাসেরই ২৫ তারিখে,ভোর ৪টে ৫ মিনিটে, বাঁকুড়ার ওন্দায় একটি দুর্ঘটনাটি ঘটে। রেল সূত্রে খবর, লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে বাঁকুড়ার দিক থেকে আসা আরেকটি মালগাড়ি। পিছনের মালগাড়িটির ইঞ্জিন উঠে যায় দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির ওপর। দু'টি ট্রেনের ৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে দাবি করা হয়, চালকের গাফিলতিতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর আগে রেলের তরফেও এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার পরে সেদিনই আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মণীশ কুমার বলেছিলেন, 'সিগন্যাল রেড ছিল। চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' পরে, ওই ঘটনায় লোকো পাইলট, অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট এবং দু'জন চিফ লোকো ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করেছিল রেল। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, চালকদের প্রশিক্ষণেই গাফিলতি ছিল? চিফ লোকো ইন্সপেক্টরদের সাসপেন্ডের পর ওঠে প্রশ্ন।