কলকাতা: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআইয়ের নজরে কলকাতার চারটি সংস্থা। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই সংস্থাগুলি ভুয়ো। এগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে। গরুপাচারের টাকা এভাবেই লেনদেন হতে পারে বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে দেখা যায়, কলকাতার এই চারটি ভুয়ো সংস্থার সঙ্গে আরও ২৫-৩০টি সংস্থার যোগ রয়েছে। এই চারটি সংস্থার কোটি কোটি টাকার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য ব্যাঙ্কের কাছ থেকে সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। খবর সূত্রের।


ফের খারিজ হল জামিনের আবেদন। ১১ই নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।এদিন, আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই। তদন্ত শেষ করতে কত সময় লাগবে? সম্ভাব্য সময় বলুন। সিবিআইকে প্রশ্ন আসানসোল আদালতের। দ্রুত তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করছি, উত্তর সিবিআইয়ের। 


দুর্গাপুজো-কালীপুজো জেলে কেটেছে। জগদ্ধাত্রী পুজোতেও জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।ফের প্রভাবশালী তত্ত্বেই খারিজ হল তাঁর জামিনের আবেদন। আগামী ১১ই নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।


মামলা নিয়ে বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল CBI-কেও। তদন্ত শেষ করতে কত সময় লাগবে? CBI’এর আইনজীবীকে প্রশ্ন করলেন বিচারক। শনিবার আসানসোলের বিশেষ CBI আদালতে তোলা হয় বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে।শুনানিতে CBI’এর আইনজীবী বলেন, উনি (অনুব্রত মণ্ডল) প্রভাবশালী। এটা একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেলে তদন্তকে প্রভাবিত করবেন। আমরা চার্জশিট পেশ করার পরও কয়েকজনের বয়ান নিয়েছি। সেগুলো আদালতে পেশ করা হয়েছে। 


অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করে তাঁর আইনজীবী সওয়াল করেন,অনুব্রত মণ্ডলকে CBI প্রভাবশালী বলছে। উনি একটা ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে গেলেই কি প্রভাবশালী তকমা ঘুচবে? নাকি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিলে ঘুচবে? অনুব্রত মণ্ডল যাতে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেন, তাই জেলে রাখার জন্য চাপ দিচ্ছে CBI। সারদা মামলা যেভাবে চালিয়েছে, CBI সেভাবেই গরু পাচার মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডলের আরেক আইনজীবী বলেন, CBI’এর চার্জশিটের ৮৪ নম্বরে যাঁর নাম রয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার আগেই তিনি মারা গেছেন। এরপর CBI’র আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারক বলেন, কী কী ভাবে অনুব্রত মণ্ডল তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারেন? 


৫ বছর ধরে যদি তদন্ত চলে, তাহলে কি তিনি ৫ বছরই জেলে থাকবেন? CBI’এর আইনজীবী বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করছি। বিচারক CBI’র আইনজীবীকে বলেন, নির্দিষ্ট করে সম্ভাব্য দিন বলুন। CBI’এর আইনজীবী বলেন, ৬০ দিন লাগতে পারে। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষ হতে ১১ই নভেম্বর পর্যন্ত, অনুব্রত মণ্ডলের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। জামিন খারিজ প্রসঙ্গে বিচারক তাঁর নির্দেশ নামায় বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যে প্রভাবশালী, তা সবার জানা। অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে থাকা বিপুল সম্পদের বিষয়ে তিনি (অনুব্রত মণ্ডল) কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।