সন্দীপ সমাদ্দার, কলকাতা:  নতুন বছরের শুরুতেই কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে চারটি দুর্ঘটনা (Road Accident)। কসবাতে মোটরবাইকে ধাক্কা গাড়ির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রুবি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এক তরুণী-সহ দুই বাইক আরোহী। দু’জনেরই মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাইক ও গাড়ি সিগন্যাল ভেঙে এগোচ্ছিল। পুরুলিয়ায় দুর্ঘটনায় আহত হন ডিএসপি-সহ ৪ পুলিশকর্মী (Police)। বারুইপুর বাইপাসেও দুর্ঘটনা, ট্রাফিক আইন ভেঙে নয়ানজুলিতে গাড়ি পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টের কাছে ৪ নম্বর ব্রিজে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারের উপর উঠে গেল লরি। 


মূলত গতকাল রাতে পেট্রোলিং করার জন্য বেরিয়েছিলেন ডিএসপি (ট্রাফিক) সহ চার পুলিশ কর্মী । গোটা শহর তখন নতুন বছর উদযাপনে ব্যস্ত।  পুরুলিয়া - বাঁকুড়া ৬০(A) জাতীয় সড়কের উপর পুরুলিয়া শহরের রঘবপুর মোড়ে তাঁরা তখন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ঠিক এমনই সময়েই রাঘবপুর মোড়ে অপরদিক থেকে এক্সাসাইজ ডিপার্টমেন্টের একটি বোলেরো গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ডিউটিরত পুলিশকর্মীদের। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ডিএসপি (ট্রাফিক) সহ চার পুলিশ কর্মী।  সঙ্গে সঙ্গে আহত পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার হয়ে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে অন্যত্র রেফার করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে, পুরুলিয়ার দুর্ঘটনায় এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, সচেতনতা বাড়িয়ে দিতে, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে উদ্যোগের শেষ নেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের। তারপরেও বারবার দুর্ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসছে। সম্প্রতি ভরা উৎসবের মরশুমেই প্রকাশ্য এসছিল আরও এক মর্মান্তিক খবর। মেচেদা বাইপাসে বাসের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে কাঁথিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হয়েছিল। যার জেরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল (Tragic Accident)। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ ধরে অবরুদ্ধ হয়ে ছিল জাতীয় সড়ক। জানা গিয়েছিল, কাঁথির মেছেদা বাইপাসের  রেল রাস্তা ক্রসিংয়ের কাছে, NH ১১৬ এর বির ওপরে, হোন্ডা আই টেন গাড়ির সঙ্গে বাসের মুখোমুখি ধাক্কা লেগেছিল।  আইটেম গাড়িটি দীঘার দিকে যাচ্ছিল। ঠিক ওই সময়ই বিপরীত দিক থেকে আসা বাসটি মেছেদা বাইপাসের দিকে যাচ্ছিল। মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু ঘটেছিল।


আরও পড়ুন, সৌমিত্র খাঁকে প্রার্থী 'না' করার দাবি, নিজের কেন্দ্রেই BJP সাংসদের বিরুদ্ধে পোস্টার!


পুজো শুরু আগেও একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। টায়ার পাংচার হয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে গিয়েছিল দিঘা-কলকাতা এসি বাস (Bus Accident)। আহত হয়েছিলেন ১০ থেকে ১২ জন বাস যাত্রী। যার রেশ এখনও কাটেনি। পাশাপাশি সম্প্রতি দীঘা থেকে একটি বেসরকারি বাস যাত্রীদের নিয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বিষ্ণুপুরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি পিক আপ ভ্যান সজোরে বাসটিকে ধাক্কা মেরেছিল। ঘটনার খবর পেতেই স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি প্রচণ্ড গতিতে থাকা পিক আপ ভ্যানটির চাকা ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে যাওয়া বেসরকারি বাসে ধাক্কা মারে ওই পিক আপ ভ্যান। আর এরপরেই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।