শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে তুফানগঞ্জে (Tufanganj) ধাক্কা খেল তৃণমূল (TMC)। এদিন সেখানে তাদের এক সদস্য়-সহ ৪০০ জন এলাকাবাসী সিপিএমে (CPM) যোগদান করেন যাতে শাসকদল ওই এলাকায় কিছুটা হলেও চাপে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।  


কী ঘটল?
তুফানগঞ্জের বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বালাভূত ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মিজানুর রহমান-সহ ৪০০ জন সিপিএমে যোগদান করেন বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। যদিও তৃণমূলের দাবি, মিজানুর রহমানকে আগেই দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা শাসকদলে। ঘটনাচক্রে এদিনই আবার শাসনের খড়িবাড়ি এলাকা থেকে প্রায় ৭০০ জন সিপিএম অনুগামী যোগ দিলেন তৃণমূলে।


শাসনে যা ঘটল...
এক সময়ে শাসনের  কীর্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িবাড়ি এলাকা ছিল সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি। সেখানেই সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেন প্রায়  ৭০০ জন। হাড়োয়া বিধানসভার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম ও বারাসাত দু'নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি শম্ভু ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয় সিপিএম নেতা মহম্মদ ইসরাইল-সহ একাধিক নেতা কর্মীর হাতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ধাক্কা খেল সিপিএম। অন্যদিকে একদা বামেদের শক্ত ঘাঁটি শাসনে শক্তি বাড়ল শাসকদল তৃণমূলের। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বাম বিধায়কের দলবদল নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, সিপিএম থেকে তৃণমূল আসার জন্য নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডলকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। 


শুভেন্দুর দাবিতে শোরগোল... 
২০১৯ সালে সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেন নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডল। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের সিপিএম বিধায়ক ছিলেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, সিপিএম-ত্যাগের জন্য কানাই মণ্ডলকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়। দলবদলের পরিবর্তে তাঁকে অর্থের পাশাপাশি স্করপিও গাড়ি 'ভেট' দেওয়া হয়েছিল বলে জানান শুভেন্দু। তৃণমূল দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর এই প্রাক্তন বাম বিধায়কের দলবদল হয়েছিল। প্রসঙ্গ, ২০১১, ২০১৬, ২০২১, তিন বারেই মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসেন কানাই মণ্ডল। যদিও  শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের জবাবে পাল্টা সুর চড়ান নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। জানিয়ে দেন, দ্রুত টাকার বিনিময়ে দলবদলের মন্তব্য প্রত্য়াহার না করলে, মানহানি মামলার নোটিস পাঠাবেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, "আমি ওঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার জন্য় প্রস্তুতি নিচ্ছি। এবং আমি আজকেই হাইকোর্টের উকিলের সঙ্গে কথা বলেছি। কতবড় মিথ্য়াবাদী, সেটা প্রমাণ করে দেব। ...উনি আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। এবং সমাজে আমাকে কলুষিত করার চেষ্টা করেছেন।"


আরও পড়ুন:লাগামছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি, সর্বনিম্ন তাপমাত্রাতেও রেকর্ডের দোরগোড়ায় কলকাতা