লখনৌ: বন্ধুত্বের কোনও স্থান, কাল, পাত্র হয় কি? উত্তরপ্রদেশের (UP) আরিফ খান গুর্জর (Arif Khan Gurjar) আগেই দেখিয়েছিলেন, কেমন অনায়াসে একটি সারসের (Sarus Crane) সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল তাঁর। এবার একই ছবি দেখালেন রামসমুজ যাদব।  উত্তরপ্রদেশের মউ (Mau) জেলার বাসিন্দা রামসমুজেরও একই ভাবে একটি সারস-বন্ধু রয়েছে। সম্ভবত, একসময়ে ক্ষুধার্ত ওই সারসটিকে খাবার খাইয়ে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন রামসমুজ। সেই শুরু। তার পর থেকে দু'জনে দুজনকে ছাড়া থাকেন না।


বন্ধুত্ব...

খেতে ঘুরছেন রামসমুজ। পিছনে পিছনে হাঁটছে সারস। মউ জেলার বারাইপুর মালিক গ্রামের বাসিন্দা সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানালেন, সারসটিকে দু'বার খাইয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে প্রায়ই রামসমুজের কাছে চলে আসত সে। শুধু তাই নয়। একেবারে পাকাপাকি ভাবে তাঁর সঙ্গে থাকতেও শুরু করেছিল সারসটি। ধীরে ধীরে গাঢ় হয় বন্ধুত্ব। একেবারে আরিফ খানের মতো এই প্রাণীটিকেও নিজের হাতে খাওয়ান রামসমুজ। খেলাধুলোও করেন। সংবাদংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে সেই ভিডিও শেয়ারও করেন মউ জেলার বাসিন্দা। 





 আরিফ খান গুর্জর...
এর আগে আরিফ খান গুর্জর ও এক সারসের বন্ধুত্বের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে বিস্তর তর্কবিতর্কও হয়। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, তুফান ওঠে। জানা গিয়েছিল, আহত অবস্থায় ওই সারসটিকে উদ্ধার করে শুশ্রুষা করেছিলেন আরিফ। যুবক বলেছিলেন, 'আমিই ওকে সেবা করে সুস্থ করে তুলি। তার পর ও জঙ্গলে ফিরেও গিয়েছিল। কিন্তু মাঝেমধ্যেই আসত।' বন্ধুত্ব অবশ্য এখানেই থামেনি। জঙ্গল পেরিয়ে যেখানে আরিফ থাকতেন সেখানেও উড়ে আসতে শুরু করে সারসটি। যুবকের বাইকের সঙ্গে উড়তে দেখা যায় তাকে। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্য পাখি সারস। আইন অনুযায়ী, একে বাড়িতে রাখা যায় না। আরিফের ভিডিও ভাইরাল হতেই বন্যপ্রাণ দফতরের আধিকারিকরা পাখিটিকে নিয়ে চলে যান। শুধু তাই নয়। 'বন্ধু' আরিফের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের একাধিক ধারায় মামলাও রুজু করা হয়। গত সপ্তাহে শেষমেশ যুবকের সঙ্গে কানপুর চিড়িয়াখানায় দেখা হয়েছে পাখিটির। বন্ধুকে ফিরে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়ে সে যা দেখে আবেগ আটকে রাখতে পারেননি নেটিজেনরাও। 
বাস্তবিক। বন্ধুত্ব কবে আর স্থান, কাল, পাত্রের সীমানা মেনে চলেছে? 

আরও পড়ুন:আতিক আহমেদ হত্যার পর সাংবাদিকদের জন্য SOP তৈরির প্রস্তুতি কেন্দ্রের !