আবির দত্ত, কলকাতা: কোলে শিশু নিয়ে শহরের ভিড়ে মিশে গিয়ে অন্য়ের ব্যাগ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হত টাকাপয়সা-সহ মূল্যবান জিনিস। বর্ষবরণের (New Year) দিন আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipur Zoo) কেপমারি করতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও ছত্তীসগঢ়ের (Chattishgarh) ৫ মহিলা। নেপথ্যে আরও বড় চক্র আছে কিনা জানতে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ওয়াচ সেকশন।
শহরজুড়ে বর্ষবরণের আমেজ। চিড়িয়াখানা (Alipur Zoo), ভিক্টোরিয়া (Victoria) থেকে বিভিন্ন বিনোদন পার্ক। সব জায়গাতেই এখন ঠাসাঠাসি ভিড়। উৎসবের আনন্দে মশগুল এই ভিড়েই ফায়দা তুলে একের পর এক কেপমারির অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের ওয়াচ সেকশনের জালে ছত্তীসগঢ়ের ৫ মহিলা।
কীভাবে অপারেশন চালাত এই কেপমার গ্যাং? পুলিশ সূত্রে খবর, কোলে বাচ্চা নিয়ে ভিড়ের মধ্যে মিশে যেত ওই মহিলারা। টার্গেটের অন্যমনস্কতার সুযোগে ব্য়াগ খুলে হাতিয়ে নিত টাকা-সহ মূল্যবান সামগ্রী।
শিশু কোলে থাকায় অভিযুক্ত মহিলাদের কেউ সন্দেহ করত না। বর্ষবরণের দিন এভাবেই আলিপুর চিড়িয়াখানাতে (Alipur Zoo) কেপমারি করতে গিয়েছিল ওই মহিলারা। তখনই হাতেনাতে পাকড়াও করে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ওয়াচ সেকশন।
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে শেক্সপিয়ার সরণিতে কেপমারিতে অভিযুক্ত এই মহিলারা। ধৃতদের কাছ থেকে ছত্তীসগঢ় থেকে কলকাতায় আসার ট্রেনের টিকিটও মিলেছে বলে খবর। ভিনরাজ্য থেকে কলকাতায় এসে কতদিন ধরে কেপমারি চালাচ্ছে অভিযুক্তরা? নেপথ্যে কি আরও বড় কোনও চক্র জড়িত? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অভিনেত্রী খুনের ঘটনায় আরও গ্রেফতার: বাগনানে জাতীয় সড়কে ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এবার নিহত রিয়া কুমারীর দেওর সন্দীপ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রিয়ার দাদার করা অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে এই সন্দীপের। প্রকাশের ভাই সন্দীপ পেশায় শ্যুটিং কোচ। যদিও ধৃতের দাবি, কী হয়েছে জানতে থানায় এলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রিয়ার পরিবার তাঁদের বদনাম করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেছেন ধৃত সন্দীপ। এদিকে, দফায় দফায় জেরার পরেও এখনও নিজের বক্তব্যে অনড় রয়েছেন নিহত অভিনেত্রীর স্বামী প্রকাশ কুমার। খুন করেনি বলে এখনও দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন প্রকাশ। অবিনেত্রীর খুনের ঘটনায় একাধিক মিসিং লিঙ্ক। রাঁচি থেকে এত দূরে বাগনানে এসে কেন খুন? আদৌ কি বাগনানেই খুন করা হয়? খুনের মোটিভই বা কী? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বাগনান থানার পুলিশ।