সনৎ ঝা, বাচ্চু দাস, রুমা পাল: শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে প্রায় ৮ হাজার রাজ্য পুলিশ (State Police)। জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। তারপরই অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে সরব হয়েছে বিরোধীরা (opposition)। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক শিবির।
ভোট-পুলিশ-তরজা
২৬ জুন GTA নির্বাচন। ওই একই দিনে ভোট হবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের। তা নিয়ে সরগরম উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়ি শহর। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে প্রায় ৮ হাজার রাজ্য পুলিশ।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, 'প্রায় ৮ হাজার পুলিশ থাকবে। বর্ডার সিল করা হচ্ছে। নাকা চেকিং বাড়ানো হচ্ছে।' রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে থাকবে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও RAF। বুথগুলিতে থাকবে সিসি ক্যামেরা। ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা থাকবে।
দার্জিলিং জেলা পুলিশ ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হবে। এদিন দার্জিলিঙের জেলাশাসক ও শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার শিলিগুড়িতে ডিসি আরসি সেন্টার ঘুরে দেখেন। কিন্তু রাজ্য পুলিশ দিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট হলে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কতটা সম্ভব হবে, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, 'এখানে বিধানসভায় জিতেছে বিজেপি। ভোটাররাও বিজেপির পাশে। জয় নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু আশঙ্কা রয়েছে ভোট পরিচালনা নিয়ে। কারণ দায়িত্বে রয়েছে ৮ হাজার রাজ্য পুলিশ যারা তৃণমূলের সঙ্গে সমার্থক হয়ে গেছে। তাই নিজেদের বুথ নিজেদের আগলে রাখতে হবে।'
সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের কথায়, 'আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক। মানুষ যাতে নিরপেক্ষ ভাবে নিজের ভোট দিতে পারে। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ তো তৃণমূল হয়ে গেছে। রাজ্য পুলিশ তৃণমূল পার্টি করে। তারা কী করে নির্বাচন পরিচালনা করবে? ভোটে পুলিশের পার্টিবাজি বরদাস্ত করব না। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় পুলিশ আনা হোক।'
আরও পড়ুন: Pashchim Medinipur News: বিজেপির অফিস থেকেই সিলিন্ডার বিলি! বেনিয়মের অভিযোগ তৃণমূলের
পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল
রাজ্য পুলিশ দিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট। অবাধ ভোট নিয়ে সংশয়ে বিরোধীরা। তৃণমূলের পাল্টা জবাব। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কথায়, 'শিলিগুড়ি পুরসভার মতো মহকুমা পরিষদেও জিতবে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ারে বিরোধীরা সাংগঠনিক ভাবে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে।'
শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ মাটিগাড়ায় রোডশো করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ প্রচার শুরু করেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। মাটিগাড়া ও খড়িবাড়িতে কর্মিসভা করেন তিনি।