উত্তর দিনাজপুর: উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) সভাপতি ও ইটাহারের প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্যকে (Amal Acharjee) যাতে দলে না নেওয়া হয়, তারজন্য জেলার ৮ বিধায়ক (8 TMC MLAs) চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)।
বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপি যোগ দেন অমল। আট বিধায়কের চিঠিতে বলা হয়েছে, অবিশ্বাস্য ফল করেছে তৃণমূল। দলে নিলে সংগঠন দুর্বল হবে। এখন সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করছেন। অমল আচার্য দলে ফিরলে দলের একতা ক্ষুন্ন হতে পারে, দল দুর্বল হতে পারে। এই চিঠির প্রতিলিপি তাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো দলের শীর্ষ নেতাদের কাছেও পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর রাজ্যের বিধানসভার ভোটের মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের দু’বারের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অমল আচার্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১১ ও ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে ইটাহার থেকে তৃণমূলের হয়ে জিতেছিলেন তিনি ৷ প্রায় ৯ বছর উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন অমল আচার্য। কিন্তু, এবার আর তাঁকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। এর পরই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অমল আচার্য।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে অমল আচার্য বলেছিলেন, ‘‘এই কাটমানি, গরু পাচারের সরকার আর থাকবে না, মোদির নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ব আমরা, আমি মাঠে নামব, ইটাহারে যারা সংখ্যালঘু ভোটের ঠিকা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা সাবধান ৷’’ বিজেপিতে যোগদান করেই তাঁর হুঙ্কার ছিল ইটাহারের মমতা বন্দোপাধ্যায় মনোনীত প্রার্থী মুশাররফ হোসেনকে কয়েক হাজার ভোটে হারানোর।
এরপর বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঘটে তৃণমূলের। ইটাহারের মানুষও ভোটে জয়ী করেছিলেন মমতার প্রার্থী মোশারফ হোসেনকে ৪৫ হাজার ভোটে। ভোটের ফলাফলের পর থেকেই গেরুয়া রাজনীতির আড়ালে চলে যান তিনি।
ভোটের ফল বেরোনোর পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ও ইটাহারের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য। দল ছাড়ার দেড়মাসের মধ্যেই এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন অমল আচার্য। তিনি দাবি করেছিলেন, বিজেপির সাম্প্রতিক মনোভাবই তাঁর মোহভঙ্গের কারণ। তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন অমল আচার্য।অমল আচার্য বলেন, "দলের জন্ম লগ্ন থেকেই দিদির আদর্শে তৃণমূল করেছি। জানি না কোন অজ্ঞাত কারণে টিকিট পেলাম না। ৫-৭ দিনের জন্য বিজেপি করেছি একটা ক্ষোভে। দুঃখে বেদনায় করেছি। মন থেকে করিনি। গোটা বাংলাকে কোভিড থেকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করছেন। আরেকদিকে তাঁর মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চালাচ্ছে।"