সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: করোনা সংক্রমণ (Corona ) রুখতে কড়া প্রশাসন। আগামী শনিবার থেকে বনগাঁ পুর এলাকায় শুরু হতে চলেছে দোকান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারের খোলার ও বন্ধ থাকার বিধি। কারও জ্বর থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্যেও বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে।


করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি পৌরসভা নিয়ম করে বাজার বন্ধের নির্দেশ জারি করেছিল। এবার বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে বাজার বন্ধের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ চালু করা হবে। বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী শনিবার অর্থাৎ ১৫ জানুযারি ২০২২ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সমস্ত স্থানীয় দোকান সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এরপর সন্ধ্যা ৭টা বেজে গেলে সমস্ত বাজার বন্ধ করে দিতে হবে। এছাড়াও ক্রেতা বা বিক্রেতা, কারও যদি জ্বর থাকে, তাহলে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিধি নিষেধ চালু করা হচ্ছে বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে। যতদিন পর্যন্ত পুনরায় বৈঠক করে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া হচ্ছে ততদিন এই নিয়ম বলবৎ থাকবে বলে পৌরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিয়ম লাগু হল।


আরও পড়ুন: Gangasagar Mela 2022: গঙ্গাসাগরের সৈকতে জনজোয়ার, কোভিড আবহে পুণ্যস্নানের মাঝেই বিধিভঙ্গের ছবি


রকেটের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ (Daily COVID Cases)। তাতেও হুঁশ ফিরছে না মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে এ বার পথে নামলেন শাসকদলের (TMC Leaders) নেতা-কর্মীরা। গতকালই উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় রাস্তায় পথচারীদের থামিয়ে হাতে মাস্ক (Mask Up) তুলে দিলেন তাঁরা। অতিমারির (Novel Coronavirus Pandemic) হাত থেকে বাঁচতে সতর্কতা প্রয়োজন। সৌজন্য বিনিময় করতে গিয়ে হাতে তুলে দেওয়া হল গোলাপ ফুল এবং মিষ্টির প্যাকেটও।


বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে। প্রশাসনের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও এ দিন মাস্কহীন মানুষের দেখা মেলে রাস্তায়। গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময়ও মাস্ক ছিল না অনেকের মুখেই। তাতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমে পড়েন এলাকার তৃমমূল নেতৃত্ব এবং তাঁদের সহযোগীরা। মাস্ক বিলিতে এ দিন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন হাড়োয়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সফিক আহমেদও। মাস্কহীনদের দাঁড় করিয়ে তাঁদের অতিমারির ভয়াবহতা বোঝানো হয়। মুখে পরিয়ে দেওয়া হয় মাস্ক। তার পর গোলাপ ফুল এবং মিষ্টির প্যাকেট ধরিয়ে বিদায় জানানো হয় সকলকে। মাস্কহীন চালক ছিল যে যে গাড়িতে, সেগুলিকেও দাঁড় করানো হয়। মাস্ক পরা নিয়ে সচেতন করা হয় সকলকে।