সন্দীপ সরকার, কলকাতা: প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (HS Examinee) মৃত্যু। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের (Jadavpur Vidyapith) ছাত্রী সে। এ দিন পরিবারের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করতে নিউমার্কেটে গিয়েছিলেন আনিসা। এর পর বাড়ি ফিরে সন্ধেয় অসুস্থ বোধ করেন ওই তরুণী। হঠাৎই তাঁর বমি শুরু হয়। চিকিৎসকদের অনুমান প্রবল গরমে ডিহাইড্রেশন হয়ে অসুস্থ হয়ে যায় এবং হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। সূত্রের খবর, মৃতার বাড়ি তপসিয়ায়, নাম আনিসা আফরিন মণ্ডল। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তরুণী। 


ঠিক কী হয়েছিল: পরিবার সূত্রে খবর, এদিন সন্ধেতে বাড়ি ফিরে পড়তে বসে সে। রাতের দিকে হঠাৎই তাঁর বমি শুরু হয়। একাধিকবার বমি, মাথা যন্ত্রণা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর পর বাড়িতে চিকিৎস আসেন। ততক্ষণে তরুণীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। 


পরিবারের অভিযোগ: মৃত আনিসার বাবা জানিয়েছেন স্থানীয় এক চিকিৎসককে ডাকা হলেও সে আসতে দেরি করে। চিকিৎসক এসে পরীক্ষা করে ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ছাত্রীর বাবা এও জানিয়েছেন ওই ছাত্রী রোজার উপোস করেছিল।


কী জানালেন চিকিৎসক: দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। মর্ডান মেডিসিন এত উন্নত হওয়ার পরও এই ঘটনা সত্যিই হতবাক করছে। কী কারণে ডিহাইড্রেশন হল তা খতিয়ে দেখতে হবে। উপোসের কারণেও এমন ঘটে থাকতে পারে।


পূর্ব মেদিনীপুরে অসুস্থ ছাত্রী: তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা রাজ্য। তাপপ্রবাহে (Heat Wave) রাস্তাঘাটে লোকজন নেই বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary Students) পরীক্ষার্তী এক ছাত্রী। সামান্য অসুস্থতা নয়, পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয় যে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। তীব্র দহনেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। 


পরীক্ষার হলে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur News) তমলুকের (Tamluk News) ঘটনা। মঙ্গলবার সেখানে একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার হলে বসেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পডে়ে সায়নিকা চক্রবর্তী নামের ওই পরীক্ষার্থী। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগে থেকেই স্কুলটিতে মেডিক্যাল টিম উপস্থিত ছিল। সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ওই পড়ুয়াকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করে তারা। 


কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বরং ওই পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাই সময় নষ্ট না করে, তড়িঘড়ি তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়া হয় মেয়েটিকে। সেখানে চিকিৎসা শুরু হলে বেশ খানিক ক্ষণ পর একটু সুস্থ বোধ করে মেয়েটি। তার পর হাতে স্যালাইনের সূচ নিয়ে হাসপাতালেই পরীক্ষা দিতে বসে সে। অসুস্থতার কারণে তাকে লেখা শেষ করার জন্য অতিরিক্ত সময় মঞ্জুর করা হয় উচ্চমাধ্যমিক সংসদের তরফে।