শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা (Nisith Pramanik Convoy Attack) ঘিরে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা (Suo Moto Case) রুজু করা হল। মামলা রুজু করল সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় বিজেপি নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধেই এফআইআর। অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক, জেলা সহ-সভাপতির। নাম আছে বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি- সহ ২৮ জনের। সূত্রের খবর, এই ইস্যুতে হাইকোর্টে যাওয়ার ভাবনা বিজেপির।
নিশীথের উপর হামলায় মামলা
কোচবিহারের দিনহাটার বুড়িরহাটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছে। ভাঙচুর চলেছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। নিশীথ প্রামাণিকের অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে গুলি ছোড়া হয়েছে। পাল্টা বিজেপি-র বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছেন উদয়ন গুহ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনার আঁচ এসে পড়ে শহর কলকাতায়ও। দিনভর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তাপ ছড়িয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে, রবিবার রাজভবন থেকে কড়া বিবৃতি প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল বোস। লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে রাজ্যপাল নীরব থাকবেন না। ভয়, পক্ষপাত ছাড়া পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হবে'।
কী ঘটল?
বিজেপির তরফে আইনজীবীদের অভিযোগ, একবার নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উপর বার বার হামলার ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তরফে পুলিশকে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কোনও কার্যকরী ভূমিকা নেয়নি বলে দাবি বিজেপির আইনজীবীর। এমনকি আগাম কোনও নিরাপত্তামূলক ব্য়বস্থাও নেওয়া হয়নি। অতএব এটি পুলিশের ব্যর্থতা, এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই ঘটনায় সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হোক কারণ এটিই একমাত্র সংস্থা যারা হামলার নেপথ্যে কারা রয়েছে খুঁজে বের করতে পারবে। বার বার দিনহাটাতেই কেন নিশীথ প্রামাণিকের উপর হামলা চলে, এই প্রশ্নও তোলা হয়েছে অভিযোগে। সঙ্গে সংযোজন, এবার সিআরপিএফ মোতায়েন করা হোক দিনহাটায়। গোটা বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলাকাণ্ডে দৃষ্টি আকর্ষণ প্রধান বিচারপতির (Chief Justice Of Calcutta High Court)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনী থাকার পরেও তাঁর ওপর হামলার অভিযোগ। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশ্ন মামলাকারী আইনজীবীর।