পার্থ প্রতিম ঘোষ, মহেশতলা: ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় মহেশতলায় (Road Accident) মৃত্যু হল দুই কিশোরের। স্থানীয়দের দাবি, তার দুটি হাতই বাদ চলে গিয়েছে। রাস্তায় স্ল্যাব ফেলে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। মৃত কিশোরের দেহ নিয়ে রাস্তায় নামেন তাঁরা। যা ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মহেশতলার ওই এলাকা।


মহেশতলায় পথ দুর্ঘটনা:  রাজ্যজুড়ে উৎসবের আলো। তারই মধ্যে দুর্ঘটনার খবর। আনন্দের মাঝে প্রাণহানি। কিশোরের মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড মহেশতলায়। ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই কিশোরের। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই রাস্তা বেহাল অবস্থায় থাকলেও, সারাই হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যানকে ঘটনাস্থলে আসতে হবে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা। এদিন মৃত কিশোরের দেহ নিয়ে রাস্তায় নামেন স্থানীয়রা। মৃত দেহ নিয়েই পথ অবরোধ করেন তাঁরা। ক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে রীতিমতো বচসা হয় পুলিশের। রাস্তায় অবরোধ তোলার জন্য লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়।                                                    


চলতি সপ্তাহেই ঠাকুর দেখে ফেরার পথে, পুরাতন মালদার মুচিয়া মহাদেব পাড়ায় মিনিবাসের সঙ্গে বাইকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। ২৭ বছরের অভিষেক ও ২২ বছরের সুজন হালদার হবিবপুরের বাসিন্দা। নতুন বাইকে চড়ে রাতে মালদা শহরে ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন দুই ভাই। নবমীর দিন ভোর ৫টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে, মিনি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান বড় ভাই। ঘটনার পর থেকে মিনি বাসের চালক পলাতক ছিলেন।


তার আগে নবমীর দিন মর্মান্তিক বেপরোয়া বাইকে গতির বলি ২২ বছরের তরুণী। ভোর ৪টে নাগাদ হাওড়ার জগাছায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দুর্ঘটনা ঘটে। বন্ধুর বাইকে চেপে ঠাকুর দেখে ফিরছিলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী তনুপর্ণা দাস। তরুণীর বাড়ি শিবপুরের মন্দিরতলায়। মাথায় হেলমেট ছিল না তরুণীর। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ড রেলে ধাক্কা মারায়, বাইক থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান তরুণী। পিছন থেকে লরি এসে পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তরুণীর। লরি উধাও, বাইকটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে জগাছা থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন: Job Seekers Agitation: কাটল আরও একটা উৎসব, ৯৫৫ দিন পথেই চাকরিপ্রার্থীরা