পার্থপ্রতিম ঘোষ, হিন্দোল দে ও মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা : আধারের বায়োমেট্রিক ক্লোন (Biometric Fraud) করে জালিয়াতির জাল ! ওটিপি ছাড়াই ব্যাঙ্ক প্রতারণার নতুন কায়দা। গ্রাহকদের অজান্তেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও টাকা ! আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ (Fraud)। কলকাতা থেকে জেলা, প্রতারণার শিকার বহু গ্রাহক। আমজনতা থেকে সেলিব্রিটি, প্রতারকদের ফাঁদে বহু মানুষ। পুলিশের কাছে জমা পড়ছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। নতুন এই প্রতারণার ফাঁদ থেকে বাঁচবেন কীভাবে ?
আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক লক (Biometric Lock) করে রাখার পরামর্শ পুলিশের (Police)। মোবাইলে এম-আধার (M-Aadhar) ডাউনলোড করে বায়োমেট্রিক লক করে রাখার পরামর্শ। জালিয়াতির শিকার হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাঙ্কে জানানোর পরামর্শ পুলিশের। ব্যাঙ্কের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা থাকলে বায়োমেট্রিক দিয়েও টাকা তোলা যায়। সেই সুবিধাকেই হাতিয়ার করে চলছে জালিয়াত-চক্র। গ্রাহকদের অজান্তেই হাতের ছাপ নকল করে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। সাইবার বিশেষজ্ঞদেরও মতামত, এম আধার অ্যাপের মাধ্যমে আধারের বায়োমেট্রিক লক করে রাখতে।
কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) পক্ষ থেকে এক্স অ্যাকাউন্টে লেখা হয়েছে, অবিলম্বে বায়োমেট্রিক লক করতে হবে। প্রতারণার শিকার হলে, সঙ্গে সঙ্গে কাছাকাছির এটিএমে গিয়ে অ্যাকাউন্টের মিনি স্টেটমেন্ট নিয়ে রাখতে হবে, যাতে প্রমাণ করা যায়, ওই টাকা গ্রাহক তোলেননি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ জানাতে হবে ব্যাঙ্কে ও পুলিশে। KYC করার সময় আধার নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা বাদ দিয়ে বাকিগুলি মাস্ক করতে হবে। কোথাও পুরো নম্বর সব আধারের ফটোকপি জমা দেওয়া যাবে না। AEPS-এ টাকা না তুলতে চাইলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিংক করার দরকার নেই।
তবে আধার কার্ড তৈরি বা সম্পত্তি কেনাবেচার সময় প্রয়োজন হয় বায়োমেট্রিক তথ্য। কিন্তু যে তথ্য রয়েছে খোদ সরকারের কাছে, তা কী করে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে ?
তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত ? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
আরও পড়ুন- হাতাহাতি, লাঠিচার্জ, হকারদের সঙ্গে আরপিএফের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হাওড়া স্টেশন