অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : বাংলাদেশের ইলিশের সাধ পেতে চলেছে এবার মালদা জেলা । পদ্মার ইলিশ মালদায় রফতানি করা নিয়ে দুই বাংলার ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠক হল মালদা বাণিজ্য ভবনে। শুক্রবার রাতে মালদা শহরের রথবাড়ি এলাকায় মালদা মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্সের বাণিজ্য ভবনের সভাকক্ষে আয়োজন করা হয় বৈঠকের।



মালদা জেলার দীর্ঘদিনের দাবি বাংলাদেশের ইলিশের। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত বাংলা সীমান্ত মহদীপুর দিয়ে রফতানি করা হোক ইলিশ মাছ। কীভাবে বাংলাদেশের রুপোলি শস্য ভারতের মালদা জেলায় রফতানি করা হবে তা নিয়ে দুই বাংলার ব্যবসায়ীদের বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের রাজশাহী চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান, ডিরেক্টর মোঃ হারুন রশিদ, মালদা মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু, সম্পাদক উত্তম বসাক, মালদা জেলার মাছ রফতানি ও আমদানিকারক নুর ইসলাম সহ অন্যান্য এক্সপোর্টার ও ব্যবসায়ীরা।                         

বাংলাদেশের রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, ৫০ মেট্রিক টন মাছ ভারতে রফতানি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাছ রফতানি নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তবে মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে ইলিশ মাছ রফতানির বিষয়ে কিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে দুই দেশের আলোচনার মধ্যে দিয়ে সেটা সমাধান হবে বলে জানান তিনি। কিভাবে মাছ রফতানি করা হবে তা নিয়ে দুই দেশের আমদানি ও রফতানিকারকদের মধ্যে আলোচনা হয়।



মালদা মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা রয়েছে মালদা জেলায়। কিভাবে বাংলাদেশের ইলিশ মালদায় আমদানি করা যায় তা নিয়ে দুই দেশের আমদানি ও রফতানিকারকদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মাছ আমদানি ও রফতানিকারক নুর ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্যান্য মাছ রফতানির কথা জানানো হয়। রুই কাতলা সহ অন্যান্য মাছ পর্যাপ্ত রয়েছে জেলায়। তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ইলিশ রফতানি করার কথা। ইলিশ রফতানি নিয়ে ইতিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বৈঠকে  বলে জানা গিয়েছে। তিনি এও বলেন  কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ পাবে জেলাবাসী।                              


আরও পড়ুন : রান্নাপুজোয় বাঙালির পাতে ইলিশ পড়বে ? ভরল কি মৎসজীবীদের জাল ?