সন্দীপ সরকার, সল্টলেক: ভাতা (Wage) বাড়ানো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার দাবিতে সল্টলেকে (Salt Lake) স্বাস্থ্য ভবনের (Swasthya Bhawan) সামনে বিক্ষোভ (Agitation) দেখালেন আশাকর্মীরা (ASHA Workers)। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। দাবি, আবাস যোজনার সমীক্ষায় গিয়ে বারবার শাসকদলের নেতা, কর্মীদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। নিরাপত্তার অভাবে আবাস-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন আশাকর্মীরা। এমনকি, আবাস যোজনার কাজ করিয়ে টাকাও মেলেনি বলে তাঁদের অভিযোগ। ভাতা বৈষম্য না মেটালে পঞ্চায়েত ভোটে ডিউটি বয়কটের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়ন। 


ফিরে দেখা...
এর আগেও একাধিক দাবি আদায়ের জন্য পথে নেমেছিলেন আশাকর্মীরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে তুলকালাম বেঁধে যায়। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বসে পড়েন আশা কর্মীরা। নিয়োগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএর দাবিতে রাজপথে আন্দোলন চলছে। এর মধ্যেই সরকারি স্বাস্থ্য কর্মীর স্বীকৃতি-সহ ১২ দফা দাবিতে পথে নেমেছিলেন আশা কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের ডাকেই সে দিন স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আশাকর্মীদের সরকারি স্বাস্থ্য কর্মীর স্বীকৃতি দিয়ে স্থায়ী বেতন চালু, ভাতা বৃদ্ধি, বকেয়া সমস্ত প্রাপ্য মেটানো, করোনার ভাতা ১৫ হাজার টাকা, করোনা আক্রান্তদের বিমার ঘোষিত ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবি-সহ বিভিন্ন দাবিতে সেদিন সকালে, প্রথমে সল্টলেক স্বাস্থ্যভবনের সামনে জমায়েত করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। আশাকর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক আশা কর্মী। শেষমেশ ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে ডেপুটেশন দেন। তার আগে, ডিসেম্বরে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সমীক্ষার কাজ না করার দাবিতে প্রতিবাদে সামিল অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীরা। ওয়েলিংটন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল তাঁদের। সঙ্গে সংযোজন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর মৃত্যুতে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করতে হবে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য় স্পষ্ট। দফতর-বহির্ভূত ভাবে তাঁদের উপর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সমীক্ষার কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে যা তাঁরা কিছুতেই করবেন না। মোট ১৩ দফা দাবি রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীদের। পাশাপাশি, মৃত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রেবা রায় বিশ্বাসের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতেও পথে নেমেছেন তাঁরা। সরকারি-স্বীকৃতিও চাইছেন অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীরা তাঁদের একজনের কথায়, 'আমরা অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে রয়েছি। যে অর্ডার বেরিয়ে গিয়েছে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও জের চলতে থাকবে। রেবা রায় বিশ্বাসের মতো অনেকেরই প্রাণনাশের ভয় রয়েছে।'
এবার ফের আন্দোলনে আশাকর্মীরা।


আরও পড়ুন:প্রচণ্ড গরমেও হবে না সমস্যা, ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে যদি নেন এই ব্যবস্থা