প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: রাতে প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতালে (Presidency Jail Hospital) ভর্তি করা হল টালা থানার প্রাক্তন OC অভিজিৎ মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, শিয়ালদা আদালত থেকে গতকাল জেলে ফেরার পর অসুস্থ বোধ করেন অভিজিৎ।


গুরুতর অভিযোগ প্রমাণ হলে, সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে। অভিযুক্তদের জামিন দিলে অবিচার করা হবে। আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ-খুনের মামলায় সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে নির্দেশনামায় জানালেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক। একই সঙ্গে CBI-এর তরফে রুদ্ধদ্বার শুনানির আবেদনও খারিজ করেছে আদালত। শিয়ালদা আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে ফের নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেই সময় অসুস্থ বোধ করেন তিনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রাক্তন OC-কে প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আদালত থেকে বের করে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময়, হোঁচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন টালা থানার প্রাক্তন OC. সেই সময় একজন পুলিশ কর্মী তাঁকে ধরে ফেলেন। এরপর জেলে ফিরে হাসপাতালে ভর্তি হন টালা থানার প্রাক্তন OC অভিজিৎ মণ্ডল।          


আর জি কর মেডিক্য়ালে তরুণী চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় তথ্য় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে টালা থানার OC অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে CBI। তাঁর বিরুদ্ধে, জেনারেল ডায়েরিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য় দেওয়া, তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া, খবর পেয়েও একঘণ্টা দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছনো, FIR-এ ১৪ ঘণ্টা দেরি, অথচ শেষকৃত্য়ে তাড়াহুড়োর মতো একের পর এক অভিযোগ তুলেছে CBI। ৯ অগাস্ট আর জি কর মেডিক্য়ালে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পর পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত, ডিসি ডিডি স্পেশাল বিদিত বুন্দেশ, অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা সহ একঝাঁক IPS অফিসাররা সেখানে গেছিলেন। এখানেই প্রশ্ন ওঠে ঘটনাস্থলে লালবাজারের তাবড় IPS অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন অথচ যাবতীয় দায় কি শুধুই OC-র? কার নির্দেশে কাজ করেছিলেন OC? একজন OC-র একার কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ছবি-কাটআউটে ছয়লাপ, রাজনীতির ময়দানে কবে কামব্যাক অনুব্রতর?