মাথাভাঙা : ভুলস্বীকার। প্রকাশ্য জনসভা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণ জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা। সঙ্গে বিরোধী বিজেপিকে (BJP) তীব্র আক্রমণ। মাথাভাঙার সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেছেন, 'কয়েকটা লোকের অপকর্মের জন্য মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়েছে'।


'ভুল' কবুল


মাথাভাঙার সভা থেকে অভিষেকের বক্তব্য 'দলের জন্য মাথানত করতে প্রস্তুত। কিন্তু দু-চারটে মানুষের জন্য মাথানত করব না। কাউকে ছাড়ব না, সে যত বড় নেতার ছত্রছায়ায় থাকুক না কেন'। পঞ্চায়েত ভোটে যোগ্যরাই প্রার্থীপদ পাবেন, ফের বললেন অভিষেক। প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্য়ে ৬টিতে জিতেছিল বিজেপি। একটি কেন্দ্রে জিতেছিল তৃণমূল।পরে উপনির্বাচনে দিনহাটা কেন্দ্রে জেতে তারা। শুধু কোচবিহারই নয় গোটা উত্তরবঙ্গেই গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে জমি হারিয়েছিল বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে সেই হারানো জমি ফিরে পাওয়াই চ্যালেঞ্জ ঘাসফুল শিবিরের কাছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে আসতে দেরির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে কিছু বিজেপি নেতাদের রাজ্যভাগের দাবিকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি।


'বাংলা একটাই, পশ্চিমবঙ্গ'


বাংলা একটাই, তার নাম পশ্চিমবঙ্গ। কথায় কথায় বিজেপির বাংলার নেতারা বলছেন আলাদা রাজ্য চাই। মোদি-শাহর সঙ্গে একমঞ্চে এসে শুভেন্দু-সুকান্ত-দিলীপরা বলুন আলাদা রাজ্য চাই। যদি বলেন উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করব, পরদিন থেকে মুখ দেখাব না। 'অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তাঁরা আলাদা রাজ্যের পক্ষে না, আর বাংলার বিজেপি নেতারা আলাদা রাজ্যের উস্কানি দিচ্ছেন। এরপর থেকে আলাদা রাজ্যের কথা বললে বিজেপি নেতাদের তালাবন্ধ করে রাখুন', হুঁশিয়ারি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 


রাজবংশী তরুণের মৃত্যুতে নিশানা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের


ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ বিএসএফের গুলিতে, কোচবিহারে মৃত্য়ু হয়েছিল এক রাজবংশী তরুণের ! শনিবার মাথাভাঙার সভা থেকে, সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে সরাসরি মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে অবস্থান জানানোর চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তাঁর ডেপুটি, অর্থাৎ কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন নিহত প্রেম বর্মনের মা-বাবাকে মঞ্চে ডেকে নেন অভিষেক। কান্নায় ভেঙে পড়া, সন্তানহারা মাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন। রুমাল দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে, তাঁর কপালে চুমু খান।


আরও পড়ুন- 'দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল', কাকে 'আবর্জনা' বললেন অভিষেক ?