Continues below advertisement

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, প্রকাশ সিন্হা ও বিজেন্দ্র সিন্হা, কলকাতা : শুধু মাঠে-ময়দানে নয়, ভোটের প্রচার যুদ্ধ এখন পুরোদস্তুর হয় সোশাল মিডিয়াতেও!  ছাব্বিশের মেগা ফাইটের আগে আগে ডিজিটাল ময়দানের দখল নিতে এবার নতুন পথে হাঁটলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় । ঘোষণা করলেন নতুন ডিজিট্যাল উদ্যোগ। 'আমি আজকে একটি বিশেষ উদ্যোগ চালু করছি। যার নাম আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা', বর্তমান রাজনীতিতে সোশাল মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী জেন জির কথা মাথায় রেখে যুযুধান সব শিবিরই তাদের প্রচারে মাধ্যম করেছে সোশাল মিডিয়াকে।  

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবর সমাজমাধ্যমে সক্রিয়। ‘নমো’ অ্যাপের মাধ্যমে সারা বছরই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে শুরু করে জনসংযোগ করেন তিনি। বিজেপির আইটি সেলও ব্যাপকভাবে সক্রিয়। পিছিয়ে থাকে না কংগ্রেস কিংবা সিপিএমও ! বিজেপি কিংবা তৃণমূলকে ছেড়ে কথা বলেন না তাদের ডিজিটাল যোদ্ধারাও ! এই আবহেই এবার ডিজিটাল মাধ্যমে গেরুয়া শিবিরকে টক্কর দিতে নতুন কর্মসূচি শুরু করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।' এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখলেন, 'আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলা, মিথ্যা ও অপপ্রচারের উপর ভর করে ক্রমবর্ধমানভাবে উত্থিত হচ্ছে, অপমানিত হচ্ছে, অপমানিত হচ্ছে এবং অপমানিত হচ্ছে। ডিজিটাল জগতে যেখানে যুদ্ধ এখন তীব্রতর হচ্ছে, সেখানে ক্রমবর্ধমানভাবে বাংলার অধিকার, মর্যাদা এবং সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো, স্পষ্টতা এবং দৃঢ়তার সাথে লড়াই করা আমাদের দায়িত্ব। সেই কারণেই আমি 'আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা' শুরু করছি, যা একটি জন-চালিত, যুব-নেতৃত্বাধীন ডিজিটাল আন্দোলন যা বাংলার পরিচয় রক্ষা করবে, এর সত্যকে সমুন্নত রাখবে এবং ভারত ও বিশ্বের প্রতিটি কোণে তার গর্ব ও অগ্রগতির বার্তা পৌঁছে দেবে। বাংলাকে অপবাদিত হতে দিতে অস্বীকারকারী প্রতিটি তরুণের কাছে, এটি আপনার স্পষ্ট আহ্বান। ডিজিটাল যোদ্ধা হিসেবে যোগ দিন। বাংলার ভবিষ্যতকে শক্তিশালী করুন। নীচের লিঙ্কটি ব্যবহার করে নিবন্ধন করুন এবং বিশ্বকে সাক্ষী হতে দিন যখন এর জনগণ এক হয়ে জেগে ওঠে তখন বাংলা কী অর্জন করতে পারে।' ক্লিক করতে হবে এই লিঙ্কে - ABDigitalJoddha.com

Continues below advertisement

আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে তৃণমূল। ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই তৃণমূলের 'যোদ্ধা' হিসেবে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন তরুণ-তরুণীরা। একসময় বৃদ্ধতন্ত্রের কটাক্ষ শুনতে হত যে সিপিএমকে কিংবা শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেসও এখন ডিজিটাল ফাইটে পোক্ত ! ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের সময় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য সদর দফতরে আইটি সেলের অফিস খোলে সিপিএম।

একুশের ভোটের আগে জনপ্রিয় টুম্পা গানের একাধিক প্যারোডি তৈরি করে সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় তুলেছিল সিপিএম। কিন্তু প্রশ্ন হল, তারা কি তৃণমূল কিংবা বিজেপির সঙ্গে পেরে উঠবেন? বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একশ্রেণির রাজনীতিবিদের ওপর জেন জির আক্রোশ-ক্ষোভ বারবার চোখে পড়ছে! আর এ দেশের রাজনীতিবিদরা সোশাল মিডিয়ায় মাধ্য়মে সেই জেন জিকেই কাছে টানতে চাইছেন!